বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

পাবনায় জমেনি নির্বাচনি প্রচারণা, লোকসানের মুখে সাউন্ড ও মাইক ব্যবসায়ীরা

পাবনা প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৪, ১২:২৫ অপরাহ্ণ

আগামী ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ১৮ তারিখে প্রতীক বরাদ্দ হলেও পাবনায় জমেনি নির্বাচনি প্রচারণা, তাই লোকসানের মুখে পড়েছেন পাবনার মাইক ও সাউন্ড ব্যবসায়ীরা।
নির্বাচন এলেই শহর-গ্রাম-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় প্রচার মাইকে নির্বাচনের প্রার্থীদের গুণকীর্তন আর প্রচারণা শুরু হয়। মিছিল, সভা-সমাবেশেরও এই প্রচারণার অন্যতম অনুষঙ্গ ‘মাইক’। অন্য সময়ের চেয়ে নির্বাচনের মৌসুমে মাইকের চাহিদা বেশি বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তাই এই সময়টার জন্য অপেক্ষায় থাকেন মাইক ও সাউন্ড ব্যবসায়ীরা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পাবনার মাইক ব্যবসায়ীরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েও রেখেছিলেন। মাইক সার্ভিস পেশার অনেকেই এই সময়ে একটু বেশি লাভের আশায় নিয়ে রেখেছিলেন আগাম এ প্রস্তুতি। প্রচার যন্ত্র কাজে ব্যবহৃত মাইক ছাড়াও প্রস্তুত ছিল ব্যাটারী ও সাউন্ড সিস্টেম। কিন্তু পাবনায় নির্বাচনে তেমন প্রতিদ্বন্দীতা না থাকার ফলে অনেকটা কপালে ভাঁজ পড়েছে মাইক ব্যবসায়ীদের।
বছরের নভেম্বর মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ওয়াজ মাহফিল, সাংস্কৃতিক উৎসব, বাৎসরিক বনভোজন, পূজা থাকায় সবমিলিয়ে দম ফেলার ফুরসত থাকেনা মাইক ব্যবসায়ীদের। তবে আসন্ন নির্বাচনে পাবনা সদর উপজেলায় নেই নির্বাচনী উত্তাপ। সেই সাথে নির্বাচন এবং বিএনপির অবরোধকে কেন্দ্র করে কমে গেছে ওয়াজ মাহফিল, সাংস্কৃতিক উৎসব, বাৎসরিক বনভোজনসহ বিভিন্ন আয়োজন। ফলে বিপুল লোকসানের মুখে পড়েছেন পাবনা মাইক ও সাউন্ড ব্যবসায়ীরা। লোকসানের কারণে তারা হতাশায় দিন পার করছেন।
পাবনার একতা মাইকের স্বত্বাধিকারী মো. আফসার আলী জানান, কয়েক বছর পর পর নির্বাচন আসে, আমরা এই নির্বাচনের আশায় থাকি। নির্বাচনে প্রচার বেশি থাকায় ব্যবসাও ভালো হয়। কিন্তু এবার নির্বাচনে আমার প্রতিস
পাবনা-৫ (পাবনা সদর) আসনে মাত্র একটি প্রচার মাইক বের হয়েছে।
একই দুরাবস্থার কথা জানান নীলাকাশ সাউন্ড ও মাইক সিস্টেমের স্বত্বাধিকারী আর কে আকাশ। তিনি বলেন, গত পৌর নির্বাচনে আমার প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৪০টি গাড়িতে নির্বাচনী প্রচারের জন্য মাইক বের হতো। কিন্তু এবারের নির্বাচনে শুধুমাত্র একটি প্রচার গাড়ি বের হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এবারের জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে পৌরসভা, ইউপি নির্বাচনেও অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দিতা হয়। একজন কাউন্সিলর, ইউপি সদস্যও প্রচার গাড়ি বের করে। কিন্তু হাস্যকর বিষয়- এবার অনেক সংসদ সদস্য প্রার্থীরও কোনো প্রচার গাড়ি বের হয়নি। যেকারণে আমরা অনেক লোকসানে আছি।
সরেজমিনে দেখা যায় অমর মাইক থেকে সোনালী আশ পাট এবং আর মিডিয়া থেকে নৌকা প্রতীকের মাত্র কয়েকটি প্রচার গাড়ি বের হয়েছে।
পাবনার অন্যান্য মাইক ও সাউন্ড ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা পুরোপুরি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করে থাকেন। ফলে মাইকের চাহিদা বেড়ে যেত। এজন্য নির্বাচন উপলক্ষ্যে কেউ কেউ দুই-চার জন সহকারীও নিয়োগ দিয়েছিলেন। নির্বাচনে তেমন প্রতিদ্বন্দীতা না থাকায় ব্যাপক ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর