মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য ও চেতনার এক অনন্য নিদর্শন হয়ে পাবনার চাটমোহর পল্লী বিদ্যুত অফিসের উত্তর পাশে মাত্র ৩০/২০ ফুট জায়গার উপর ৭১ এর বিভীষিকাময় খন্ডচিত্রকে বুকে ধারন করে স্ব গৌরবে দাঁড়িয়ে আছে ৭১ আর্ট গ্যালারি। ১৯৯০ সালে ১ডিসেম্বর ৭১টি মুক্তি যুদ্ধের বিষাদে ভরা চিত্র নিয়ে ৭১টি মোমবাতি প্রজ্জলনের মাধ্যমে ৭১আট গ্যালারির ভিত্তি স্থাপন করেন প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল মোমিন । বর্তমানে ৬০ উর্দ্ধ আব্দুল মোমিন জীবিকার সন্ধানে ১২ বছর বয়স থেকে চিত্রশিল্প, হস্তাক্ষরের কাজ শুরু করেন। দেশপ্রেম ও মুক্তি যুদ্ধের চেতনায় উদ্বেলিত হয়ে ১৯৭১ এর বিভিষিকাময় বর্বরতার ইতিহাস হতে বিভিন্ন মাধ্যম (পত্র-পত্রিকা) সহ নানা যোগে সেই সময়ের পৈশাচিক কর্মকাণ্ডের ছবি সংগ্রহ করেন। বর্তমানে তার কাছে সংগৃহীত চিত্রের সংখ্যা প্রায় দুইশরো বেশী। এর মধ্যে শতাধিক চিত্র তার গ্যালারির দেওয়ালে টাঙানো আছে। জায়গা সংকটের কারনে বাকি গুলো পরে আছে। ৭১ আর্ট গ্যালারির একমাত্র স্বত্তাধীকারি আব্দুল মোমিন জানান তিনি পেশায় একজন চারুশিল্পি। জীবনের শুরু থেক এখন পর্যন্ত তার ধ্যান ধারনার সবকিছু দিয়ে এই গ্যালারি প্রতিষ্ঠা করেছেন। একমাত্র উদ্দেশ্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মুক্তি যুদ্ধের এই চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখা। প্রতি বছরই বিজয়ের মাসে বিজয় দিবসের উচ্ছ্বাস কে আরো মুখরিত করতে নতুন প্রজন্মেদের মাঝে বিজয়ের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চিত্রাংকন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। নিজস্ব অর্থায়নে অনুষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরনী কার্যক্রম করে থাকেন। এখন পর্যন্ত ৭১আর্ট গ্যালারি সরকারি বেসরকারি বা রাজনৈতিক কোন ধরনের কোন রকম পৃষ্ঠপোষকতা পায় নি। পরবর্তি প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্ব সম্পর্কে জানাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরতে ও৭১এর মহান মুক্তিযুদ্ধ জাতীর হৃদয়ে ধারন করতে ৭১ আর্ট গ্যালারি পুর্নাঙ্গ রুপ দিতে সরকারি বেসরকারি বা রাজনৈতিক সকল ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা আহবান করেন প্রতিষ্ঠানটির একমাত্র কর্নাধর আব্দুল মোমিন ।