ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিনষ্ট হয়েছে ৫৬৩ হেক্টর জমির আমনের বীজতলা, রোপা আমন ও শাকসবজি। এতে ৮ কোটি ৩০ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কৃষি বিভাগের। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ৮৯৫ কৃষক।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে সিংড়া উপজেলায় ২৩ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়। বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় ৫৬৩ হেক্টর জমির ফসল। এর মধ্যে ৪৭৯ হেক্টর জমির ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। আংশিক ক্ষতি হয় ৮৪ হেক্টর জমির ফসল। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ২ হাজার ৮৯৫। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৮ কোটির উপরে।
সিংড়ায় আবাদ করা ফসলের মধ্যে রয়েছে আমন বীজতলা, পাট, আউশধান, শাকসবজি, মরিচ, আদা, হলুদ, পেঁয়াজ ও মাসকালাই।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে উপজেলার ইটালী, চামারী, লালোর, শেরকোল, তাজপুর, ছাতারদিঘী, রামানন্দ খাজুরা ও পৌরসভায় আমনের বীজতলা, রোপা আমন ও শাকসবজির ক্ষেত পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে।
চৌগ্রাম ইউনিয়নের বড়িয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে আমন ধান রোপণ করেছিলেন। বন্যার পানিতে তলিয়ে সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
ইটালী ইউনিয়নের এনামুল হক ও সোহেল জানান, তারাও আমন ধান রোপন করেছিলেন কিন্তু অসময়ের বন্যায় সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
পৌরসভার সাজু আহমেদ ও শাহাদত হোসেন বলেন, প্রতি বছরের মত এবারেও আমন ধান রোপন করেছিলাম, বন্যার পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। তারা পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে সাহায্য চান।
সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ খন্দকার ফরিদ বলেন, ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে বন্যা হয়ে ফসলের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসন ও প্রণোদনার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।