শুভ মহালয়া শেষ।শাস্ত্রমতে, মহালয়া মানেই সনাতন ধর্মালম্বীদের শারদীয় দুর্গাপুজার দিন গননা শুরু। সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার সনাতন ধর্মালম্বীরা পুজার জন্য পুরোদমে সকল কার্যক্রম পার করছেন। তেমনি মন্ডপ ডেকোরেশন ও সাজসজ্জা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। অনুরুপ ভাবে প্রশাসন,পুজা কমিটি,আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও পুজাকে সামনে রেখে প্রস্ততি নিচ্ছেন।আগামী ২০ অক্টোবর হতে পুর্ণাঙ্গভাবে শুরু হবে পুজার সকল আনুষ্ঠানিকতা। দুর্গোৎসবকে ঘিরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের মধ্যে প্রসাধনী,খাদ্য সামগ্রী, নতুন পোষাক কেনাকাটা,প্রতিমার রংতুলির কাজ,প্রতিমা বসানোর স্থান নির্ধারন,মন্দির এলাকা সাজানো সহ বিরাজ করছে সাজ সাজ রব।সলঙ্গা বাজার ভুষাল হাটা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী স্বপন কুন্ডু জানান,আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব আসন্ন দুর্গাপুজা। প্রতি বছর আনন্দঘন পরিবেশে দুর্গোৎসব পালন করে থাকি। করোনা কালীন সময়ে তেমন জাকজমক ভাবে পুজা অনুষ্ঠান করতে পারি নাই। এবারে সুষ্ঠ, সুন্দর পরিবেশে পুজা আনন্দ পালনে প্রস্ততি নিচ্ছি। বৈরী আবহাওয়া হলেও যেন শান্তি শৃঙ্খলার মধ্য দিয়েও দুর্গোৎসব পালন হয়, সে ব্যবস্থাই করছি। ইতিমধ্যেই মা দুর্গাদেবীকে বসানোর জন্য আকর্ষনীয় মন্ডপের কাজ শুরু করেছি। প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও পাবনার হান্ডিয়াল ডেকোরেটর মালিক রব্বান মন্ডপ ডেকোরেশের কাজ করছে। কাঠ, বাঁশ আর লাল সালু,সাদা কাপড়ের সমন্বয়ে ৩ তলা উঁচু সমান ৩০/৩২ ফুট উচ্চতা নিয়ে মন্ডপের কাজ প্রায় শেষ দিকে।দৃষ্টি নন্দন এ মন্ডপের কাজে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা মজুরি নিয়ে ১০ ধরে কাজ করলেও শেষ করতে আরও ২ দিন সময় লাগবে বলে জানান ডেকোরেশন মালিক রব্বান।