সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিরাজগঞ্জে ভয়াবহ ভাঙনে মুহুর্তেই যমুনার গর্ভে বিলিন হয়ে গেলো শতাধিক বাড়ীঘর। ভাঙনের ফলে হুমকির মুখে রয়েছে আশপাশের আরও দু-তিনিটি গ্রাম।
শুক্রবার (২৪ জুলাই) দুপুর থেকে সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের পাঁচঠাকুরী এলাকায় এ ভাঙন শুরু হয়। মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানেই একশোর উপরে বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
ছোনগাছা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল আলম জানান, আজ দুপুর থেকে হঠাৎ করে শুরু হয় ভাঙ্গন। এই রকম নদী ভাঙ্গন আগে কখনো দেখেননি। মুহুর্তের মধ্যেই শতাধিক বাড়ি-ঘর, মসজিদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙন কবলিত মানুষগুলো জীবন বাঁচাতে আসবাবপত্র- ঘরবাড়ি এমনকি গবাদিপশু ফেলেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসেন।নদী ভাঙ্গনের কারনে শত শত মানুষ গৃহহীন ও নিঃস্ব হয়ে গেলো। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে আশপাশের কয়েকটি গ্রাম।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার অসীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর সাংবাদিকদের জানান, ক্ষতিগ্রস্থদের আপাতত বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসায় রাখা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদেও সার্বিক সহযোগীতা করা হবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, সিমলা স্পাররের স্যাংক বাঁধটা ভেঙে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর যমুনার স্রোত ঘুরে সরাসরি বাঁধে আঘাত হানে। এ কারণে হঠাৎই ভাঙন শুরু হয়েছে। শীঘ্রই ভাঙন ঠেকাতে জরুরী ভিত্তিতে বালি ভর্তি জিওব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করা হবে।তবে পাউবোর অনেক কর্মকর্তারা করোনায় আক্রান্তের কারণে তড়িঘরি কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।
প্রসঙ্গ, ১ জুন, সিমলা-পাঁচঠাকুরী স্পারের স্যাংকবাধটি প্রায় ৭০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বালির বস্তা ফেলে কোন রকমে বাঁধটি সংস্কার করা হলেও তিন সপ্তাহের মাথায় স্পারের মুল স্যাংক সহ অধিকাংশ এলাকা নদী গর্ভে চলে যায়। মূল স্পার থেকে বিচ্ছিন্ন হয় স্যাংক বাঁধটি।এরপর থেকেই এলাকায় ভাঙন আতংক দেখা দেয়।