ঝালকাঠিতে তেলবাহী জাহাজ সাগর নন্দিনি-২ বিস্ফোরনের ৩য় দিন দুপুর পর্যন্ত বিআইডব্লুটিএ, ফায়ার সর্ভিস ও কোষ্টগার্ডের ডুবুরী দল সকাল ১১ টা ও সোয়া ১২টায় নিখোঁজ ২জনের লাশ উদ্ধার করছে। উদ্ধারকারী দল নিখোজ ৪র্থ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে জানালেও এখোন পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান অব্যহত রয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উদ্ধার অভিযানের ৩য় দিন আজ সোমবার সকালে বিআইডব্লুটিএ সর্ববৃহৎ উদ্বারকারী জাহাজ নির্ভিক নারায়নগঞ্জ থেকে সুগন্ধা নদীর বিস্ফোরনস্থলে পৌছে। সেখানে বিআইডব্লুটিএ, ফায়ার সর্ভিস ও কোষ্টগার্ডের ডুবুরী দল পানির মধ্যে ব্যাপক তল্লাশী শুরু করে। বিস্ফোরনে বিচ্ছিন্ন হয়ে ডুবে যাওয় সাগর নন্দিনি-২ এর ইঞ্জিন রুমের উপরের অংশ শনাক্ত করে ডুবুরী দল পানির গভীরে উদ্বারকারী জাহাজ নির্ভিকের গ্রাফি বেধে দিলে টেনে উপরে তুলে ফেললে মাষ্টার ব্রীজের বিভিন্ন কেবিন থেকে ২জনের লাখ উদ্ধার করে। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিখোজের স্বজনরা উদ্ধারকৃত একজন মাষ্টার রুহুল আমিন ও অপরজন সুপারভাইজার মাহামুদুর রহমান বেলাল বলে শনাক্ত করে। এরআগে গতকাল রবিবার উদ্ধারের ২য় দিনে ড্রাইভারের সহযোগী সালাম হোসেন হৃদয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় বর্তমানে একমাত্র ড্রাইভার একরাম হোসেন সরোয়ারের মৃতদেহ উদ্ধার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উদ্ধারকৃত রুহুল ও বেলালের স্বজনরা জানায়, গত তিন ধরে অক্লান্ত প্ররিশ্রম করে অভিযান পরিচালনা করায় উদ্ধারকারী দল ও প্রশাসনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ যে তারা আমাদের স্বজনদের লাশটা অন্তত আমাদের কাছে তুলে দিয়েছে। এখোন নিহতদের স্ত্রী-সন্তানের ভবিষ্যতের স্বার্থে তারা যেনো আইনানুযায়ী ক্ষতিপূরন পায় সরকার যেনো তার ব্যবস্থা করে দেন সেই দাবী জানাচ্ছি
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড টিমের অপারেশন অফিসার লে. মোঃ শাফায়েত জানান, আজ ৩য় দিন সকাল থেকে নারায়নগঞ্জ থেকে আসা দেশের সর্ববৃহৎ উদ্ধারকারী জাহাজ নির্ভিক ও বিআইডব্লুটিএ, ফায়ার সর্ভিস, কোষ্টগার্ডের ডুবুরী দল অভিযান শুরু করে। দুপুর পর্যন্ত দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাকী এক জনের লাশও শনাক্ত করা গেছে। শিগ্রই তাকে উদ্ধারের মধ্য দিয়ে নিখোজ ৪জনকেই উদ্ধার সম্পন্ন হবে।