দীর্ঘ সময় ডিমে তা দিয়ে বাচ্চা ফুটানোর যে যন্ত্রণা,
মাকরসার জাল বুনতে যে অধ্যবসায়,
প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড়ে আম কুড়ানোর যে সাহস,
ফুটফুটে শিশুর জন্ম দেয়া প্রসূতি মায়ের যে আনন্দ,
পিপাসিত চাতকের মেঘবৃষ্টির জন্য যে অপেক্ষা,
বিরানভূমিতে ফসল ফলানোর যে যত্ন,
সভ্যতার সংকট উত্তরণের যে প্রচেষ্টা,
অতীত ও বর্তমানের ছবি আঁকার যে সাধনা,
নিজের খেয়ে বনের পশু চড়ানোর যে সখ,
জনতার সিঁড়ি হয়ে পদদলিত হবার যে মানসিকতা,
অন্ধের যষ্টি খুঁজে পাবার যে আকুলতা,
মরা কাঠের ভেতর ক্ষুধার্ত পোকার যে ধৈর্য,
নবজাতক শিশুর কপালে উষ্ণ চুম্বনে যে প্রশান্তি,
দিন শেষে ঘরে ফেরা পাখির যে বিনোদন,
রাতের আঁধারে শিশির ও ঘাসফুলের যে প্রেম,
দেনার দায়ে শেষ সম্বল দুই বিঘা লিখে দেবার যে কষ্ট,
ভরা যৌবনের যে জৌলুস ও উদ্দামতা,
বিজয়ী নৌকার মাঝির বৈঠায় যে আবেগ,
হাসপাতালের সফেদ বিছনায় মুমূর্ষু রোগীর যে আত্মচিৎকার,
শেষবিকেলে দেবদারু গাছের লম্বা ছায়ার মত যে অবহেলা,
হাত থেকে ছুটে যাওয়া পাখির জন্য যে আফসোস,
গাছের শেখড়ে জলতেষ্টা মেটানোর যে নেশা,
গাণিতিক সমস্যার যে ম্যাজিকাল সলিউশন,
দুধ আর আনারস মিশ্রণের যে ভয়,
গোয়ালের সেরা গরু চুরির যে শঙ্কা,
মেঘের কোলে যে জলছাপ,
বৃষ্টির কণায় যে ছন্দ,
বাসর ঘরে নববধূর যে হাসি!
ধানক্ষেতের আইলে যে স্বতন্ত্র মালিকানা রেখা,
পৃথিবীর মানচিত্রে যে রঙ,
এতকিছুর সমন্বয়ে যে সুবিন্যস্ত ছন্দের ঝড়ণা হয়
এর নাম কবিতা!