অনেক সময় খবরে শোনা যায়, স্ত্রী ছোট সন্তান রেখে কিংবা সন্তান নিয়ে অন্যের হাত ধরে পরকীয়া করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে পরিবারের মধ্যস্থতায় সেই স্ত্রীকে ফিরিয়ে এনে সংসার করতে বলা হয়। এক্ষেত্রে পরকীয়ার টানে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রী ফিরে এলে তার সঙ্গে পুনরায় সংসার কারা যাবে কি? পরকীয়ার কারণে আগের বিয়ের বন্ধন অটুট থাকবে কি?
পরকীয়া করে অন্যের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়া স্ত্রী ফিরে এলে তার সঙ্গে সংসার করা যাবে। তার বিয়ের বন্ধনও অটুট থাকবে। পরকীয়ার কারণে বিয়ের কোনো সমস্যা হবে না। বরং স্ত্রী পরকীয়া করে মহাপাপ করেছে। সেই পাপের জন্য তাকে আবশ্যই আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। তওবা করে সঠিক পথে ফিরে আসতে হবে। পরকীয়া করে পালিয়ে যাওয়ার কারণে তাদের বিয়ের সম্পর্ক নষ্ট হবে না।
সুতরাং পরকীয়ার কারণে ঘর ত্যাগী নারী ফিরে এলে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বসবাস করাতে কোনো সমস্যা নেই। স্ত্রী যদি তওবা করে এ পাপের পথ থেকে ফিরে আসে, তাহলে এই স্ত্রীকে তালাক না দিয়ে সংশোধনের সুযোগ দেওয়াই উত্তম। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَ الّٰتِیۡ تَخَافُوۡنَ نُشُوۡزَهُنَّ فَعِظُوۡهُنَّ وَ اهۡجُرُوۡهُنَّ فِی الۡمَضَاجِعِ وَ اضۡرِبُوۡهُنَّ ۚ فَاِنۡ اَطَعۡنَکُمۡ فَلَا تَبۡغُوۡا عَلَیۡهِنَّ سَبِیۡلًا ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ عَلِیًّا کَبِیۡرًا
‘আর তোমরা যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদেরকে সদুপদেশ দাও, বিছানায় তাদেরকে ত্যাগ কর এবং তাদেরকে (মৃদু) প্রহার কর। এরপর যদি তারা তোমাদের আনুগত্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমুন্নত মহান।’ (সুরা নিসা: আয়াত ৩৪)
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে অভিযোগ করলো-
إِنَّ امْرَأَتِي لَا تَمْنَعُ يَدَ لَامِسٍ قَالَ: غَرِّبْهَا قَالَ: أَخَافُ أَنْ تَتْبَعَهَا نَفْسِي، قَالَ: فَاسْتَمْتِعْ بِهَا
‘আমার স্ত্রী কোনো স্পর্শকারীর হাতকে নিষেধ করে না। তিনি বললেন, তুমি তাকে ত্যাগ করো। সে বলল, আমার আশঙ্কা আমার মন তার পেছনে ছুটবে। তিনি বললেন, (যেহেতু ব্যভিচারের প্রমাণ নেই) তাহলে তুমি তার থেকে উপকার গ্রহণ করো। অর্থাৎ বিয়ের বন্ধন অটুট রাখো।’ (আবু দাউদ ২০৪৯, নাসাঈ, বায়হাকি)