পহেলা মে দিবস;
বসন্তের কুহু তানে মন ভুলানো ক্ষণ ছিল?
না; কারণ?
সেই দিন ছিল শ্রমিকের উপর জুলুম নির্যাতন নিধনের ক্ষণ।
অমানুষিক পরিশ্রম রুখে দিতে গর্জে উঠে শত শত শ্রমিক;
দাবি ছিল অতি নগণ্য;
ষোল ঘণ্টা লয় দৈনিক আট ঘণ্টা চাই।
খল মালিক দাবির কাছে করেনি শির নত;
ষোল ঘণ্টার বেড়াজাল লন্ডভন্ড করতে;
হাজার হাজার শ্রমিকের অগ্নি ঝরা প্রতিবাদী কণ্ঠে, রাজ পথ থরে থরে কম্পিত !
চোষকের প্ররোচনায় পুলিশ নিরস্ত্র শ্রমিকের মিছিলে,
এলোপাতাড়ি বুলেটের আঘাতে সোনার দেহ ক্ষত-বিক্ষত।
শ্রমিকের বক্ষের তাজা রক্তে শিকা গোর রাজ পথ রঞ্জিত;
তা দর্শনে শ্রমিক কি ডরে আন্দোলন স্তব্ধ করেছে ?
না!
বরং রক্তের বদলা নিতে অগ্নি ঝরা আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতার রূপ ছড়িয়ে পড়ে আকাশে বাতাসে;
অপশক্তির জন্মদাতা ধীরে ধীরে ক্ষয়, শ্রমিকের দাবি (বিশ্বের) মানচিত্রে আসন পেয়েছে দীর্ঘ অপেক্ষায়।