মোঃ কামাল হোসেন যশোর থেকে:
হাসমী সাজু যশোর জেনারেল হাসপাতালের ১২৮ স্লাইসের সিটি স্ক্যান মেশিন অবশেষে চালু হয়েছে। চলতি জুলাই মাসে দৈনিক সমাজের কথা ‘উদ্বোধনের তিনমাসেও চালু হয়নি সিটি স্ক্যান মেশিন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ চারমাস পরে মেশিনটি চালু করেছেন। প্রথম দিনে সরকার নির্ধারিত খরচে চারটি সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন রোগে সেবা নিতে আসা গরীব সাধারণ মানুষ অল্প খরচে হৃদরোগ, হাড়ের রোগসহ বিভিন্ন উন্নত পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধা পাওয়া শুরু করেছেন। হাসপাতাল সূত্র মতে, তিন মাস ২০দিন আগে অর্থাৎ চলতি বছরের ১৭ মার্চ বঙ্গবুন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ১২৮ স্লাইসের সিটি স্ক্যান মেশিন ও ইকো-কার্ডিওগ্রাম উদ্বোধন করেন।
কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকেই এই মেশিনগুলো পড়ে থাকে। এ বিষয়ে গত ৬ জুলাই বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ মেশিনটি চালু করার জন্য তোড়জোড় শুরু করেন। এর চার মাস পরে মেশিনটি চালু করা হয়। হাসপাতালের রেডিওলজিস্ট ডা. সাজ্জাদ কামাল বলেন, করোনারভাইরাসের কারণে সিটি স্ক্যান মেশিনে পরীক্ষা হচ্ছিলো না। পরে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শনিবার থেকে মেশিনে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রথম দিনে চারটি পরীক্ষা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ১২৮ স্লাইসের সিটি স্ক্যান মেশিন হওয়ার কারণে সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকা থেকে শুরু করে রোগ ভেদে আট হাজার টাকা পর্যন্ত পরীক্ষার খরচ পড়তে পারে।
যদিও যশোরের বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ১৬ স্লাইসের সিটি স্ক্যান মেশিনে সর্বনিম্ন ২২শ’ টাকা নিয়ে থাকে। সেখানে এই মেশিনে সর্বনিম্ন দুই হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলীপ কুমার রায় ছুটিতে রয়েছেন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ আহম্মেদ জানান, সিটি স্ক্যান মেশিন ও ইকো-কার্ডিওগ্রাম মেশিন উদ্বোধন করা হলেও বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে চালু করা সম্ভব হচ্ছিল না। এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা ছিলো। সেই সমস্যা সমাধান শেষে শনিবার থেকে মেশিনটি চালু করা হয়েছে।