মুসলিম উম্মাহর দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান মাস। বেশি দিন বাকি নেই; আর মাত্র কয়দিন পরেই মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার- রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাতসহ অনেক কল্যাণের মাস রমজানুল মোবরক শুরু হবে।
রমজানের অবিরত বরকত ও কল্যাণ পেতে হলে আগে থেকেই যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। কেননা যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের ভালো প্রস্তুতি মানেই ওই কাজটির অর্ধেক পূর্ণতা ও সফলতা অর্জিত হয়ে যায়।
আর এ জন্য বরকত ও কল্যাণের গুরুত্বপূর্ণ মাস রমজানের বেশকিছু আগাম প্রস্তুতি রয়েছে। মুমিন মুসলমানের জন্য যে প্রস্তুতি পুরো রমজানজুড়ে রহমত বরকত মাগফেরাত নাজাত ও যাবতীয় কল্যাণের দরজা উন্মুক্ত রাখবে।
তবে সাধারণত মানুষের প্রস্তুতি দেখলে মনে হয়- রমজান শুধু ভোগের মাস। ভালো খাওয়ার মাস। পণ্য মজুদের মাস। আনন্দ-উৎসবের মাস। ব্যবসা-বাণিজ্যের মাস। না আসলেই তা নয়, বরং রমজান হলো ত্যাগের মাস। রমজান ইবাদত-বন্দেগির মাস। আল্লাহর রহমত বরকত মাগফেরাত নাজাত ও যাবতীয় কল্যাণ লাভের মাস।
রমজান আসার আগে প্রস্তুতি মানে খাবারের বিশাল সমাহার সংগ্রহের প্রস্তুতি নয়; বরং আত্মিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করাই মূল বিষয়। দুঃখজনক হলেও সত্য মানুষ আত্মিক প্রস্তুতি বাদ দিয়ে খাবারের আয়োজনের দিকেই বেশি ঝুঁকে পড়ে।
মুমিন মুসলমানের জন্য জরুরি হলো রমজানের যাবতীয় কল্যাণ পেতে হলে এখন থেকেই পরিপূর্ণ আত্মিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। হজরত মুয়াল্লা ইবনে ফজল রাহমাতু্ল্লাহি আলাইহি নামে এক বিখ্যাত তাবেয়ী বলেন, ‘সালাফে সালেহিনগণ রমজানের ৬ মাস আগে থেকে আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন- ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের রমজান পর্যন্ত হায়াত দান করেন।’ আর রমজান শেষে তারা বাকি ৬ মাস দোয়া করতেন- ‘হে আল্লাহ! রমজানে যা আমল করেছি; তা আপনি কবুল করে নিন।’
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর কোনো বান্দা যেকোনো ভালো কাজ বা আমল যদি যথাযথভাবে উত্তম উপায়ে করে; তবে সে আমল বা কাজ আল্লাহ তাআলা পছন্দনীয় হিসেবে গ্রহণ করেন।’ (তাবারানি)