ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সময় জ্ঞান না থাকার অভিযোগ করেছেন গণমাধ্যামকর্মী, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা।
শনিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলরুমে সকাল সাড়ে ১০টায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সম্পর্কে অবহিতকরণ সভা ডাকেন তিনি। চিঠিতে দাওয়াত পাওয়া ব্যক্তিরা উপস্থিত হলেও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম লিমা যথাসময়ে না আসায় অতিথিরা ফিরে যান। বিষয়টি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন অনেকেই।
জানা যায়, রোববার ওই কর্মসূচি সফল করতে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও সুধিজনদের চিঠি পাঠিয়ে দাওয়াত করেন। যেখানে সময় উল্লেখ ছিল সকাল সাড়ে ১০টা ও স্থান নির্ধারণ করা হয়েছিল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হল রুম। চিঠি পাওয়া স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তাসহ সমাজে সুশীল ব্যক্তিরা নির্দিষ্ট সময়ে হলরুমে উপস্থিত হলেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উপস্থিত না হওয়ায় তারা বিরক্ত হয়ে ফিরে যান। এ সময় ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বিভিন্নজন ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেন নাই। নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা পরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে তড়িঘড়ি করে দায়সারাভাবে অনুষ্ঠান শেষ করেন।
নির্দিষ্ট সময়ে এসে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কক্ষে অপেক্ষায় থাকা ভাঙ্গুড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে এসে আধা ঘণ্টা ধরে বসে আছি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কখন আসবেন জানা নেই।’
ভাঙ্গুড়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ বদরুল আলম বলেন, ‘সাড়ে ১০টায় আসার জন্য চিঠি দিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার খোঁজ নেই। ফোন দিলেও রিসিভ করেননি। তাই অনুষ্ঠান বর্জন করি।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন, ‘সাড়ে ১০টায় চিঠি ইস্যু করেছি বিষয়টি খেয়াল ছিল না। তাই জুম মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত, ভুল হয়েছে।’