পাবনার ভাঙ্গুড়ায় রাতের আধারে রাস্তা তৈরীর ইট বিক্রির অভিযোগ উঠেছে সাহেব আলী নামে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের (মেম্বার) বিরুদ্ধে। সাহেব আলী অষ্টমনীষা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ডেঙ্গাপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম আলীর ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার অষ্টমনীষা ইউনিয়নের ডেঙ্গাপাড়া এলাকায় দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের বরাদ্দকৃত অর্থায়নে (৬৮ লক্ষ টাকা) ডেঙ্গাপাড়া টু গদাই রুপসি পর্যন্ত সাড়ে ৫০০ মিটার রাস্তার সলিং এর কাজ চলছে। গত ২০ দিন আগে ১২ জন শ্রমিক দ্বারা রাস্তার কাজ শুরু করে পাবনার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক জাকির হোসেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে প্রতিদিনের মত রাস্তা করতে গিয়ে সড়কের পাশে রাখা ইট খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুজির পর সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে বড় বিশাকোল গ্রামের সাধু আলীর ছেলে ফজর আলীর বাড়ি থেকে বিক্রি হওয়া ২০০০ ইট উদ্ধার করে থানায় খবর দেয় এলাকাবাসী। পরে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা পায় ভাঙ্গুড়া খানা পুলিশ।
ফজর আলী জানায়, ইউপি সদস্য সাহেব আলী সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাত দুইটার দিকে ১৪ হাজার টাকা চুক্তিতে নগদ ১২০০০ টাকা ও ২ হাজার টাকা বাঁকিতে আমাকে ইট দেয়। কিন্তু এখন সব কিছু জানা জানি হওয়াতে আমাকে ইট ফেরত দিতে বলছে সাহেব আলী। আমার ইট আনতে ৪ হাজার টাকা খরচ হইছে তাই আমি বলছি ইট ফেরত দিতে পরবো না।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক জাকির হোসেন বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ৫০০ মিটার রাস্তার কাজ চলছে। রাস্তা থেকে প্রায় ৮-১০ হাজার ইট চুরি হয়েছে। ২ হাজার ইট স্থানীয় মেম্বার সাহেব আলী বিক্রি করে দেন বলে জানতে পেরেছি। বিষয়টি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সাহেব আলী বলেন, বিষয়টার সমাধান করা হয়েছে। আমি এ বিষয়ে কোন কিছু বলতে চাচ্ছি না।
অষ্টমনিষা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোছা: সুলতানা জাহান বকুল বলেন, জনগণের জন্য আমরা রাস্তা করে দিচ্ছি তাও যদি চুরি হয় তা দুঃখজনক। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক ন্যায়সঙ্গত বিচার হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক জাকির হোসেন মৌখিক অভিযোগ দিয়েছে। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।