একটা সময় ছিলো
তোমার অপেক্ষায় থাকতাম!
তোমার সাথে এক সেকেন্ড
কথা বলার জন্য,
তোমাকে এক পলক দেখার জন্য
খুব পাগলামি করতাম!
কখনও কখনও তো
বায়নাও করতাম,
তোমার লেখা কবিতা পড়ার,
আবৃত্তি শোনার।
মাঝে মাঝে বলতাম
তুমি খাবার খেয়ে
আমাকে ফোন দিবে,
তারপর আমি খাবো!
তুমি বলতে ধুর পাগলি!
এভাবে হয় নাকী?
আমি কখন খাই,
কোথায় থাকি,
তার কি কোন ঠিক আছে!
তুমি তোমার মতো খেয়ে নিও।
তারপরও কিন্তু আমি
তোমার ফোনের অপেক্ষায়
না খেয়ে থাকতাম!
পরে যখন তুমি জানতে
আমায় অনেক বকতে!
এভাবে সময়ে অসময়ে তোমায় যে
কত শত বিরক্ত করতাম!
আমার এত এত পাগলামির কারনে
একটা সময় তুমি খুব রেগে যেতে
বিরক্ত হয়ে বলতে
মাথার তার কি সব কেটে গেছে?
আমি বলতাম
হয়তো বা গেছে!
না হলে কি আর একটা মানুষ
আরেক টা মানুষকে বিরক্ত করে,
ইচ্ছা করে বকা শুনতে পারে!
হুম এভাবেই আমাদের একসাথে চলার অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে,
কিন্তু দু’জনের হাতে – হাত রাখার সময়টা এখনও হয়ে ওঠেনি!
শতশত অভিমান জমে
শুধু সৃষ্টি হয়েছে সীমাহীন দুরত্ব।
এখন আর আমি তোমাকে বিরক্ত করি না,
কথা বলতে ইচ্ছা করলেও
আর বলা হয়ে ওঠে না!
হয়তো তোমার অবহেলায়,
নয়তো আমার উপেক্ষায়!
তখনও সেই আমিই ছিলাম
এখনও এই আমিই আছি!
শুধু সময়ের পরিবর্তনের সাথে
আমার এই আমিটার
অনুভুতিগুলো থমকে গেছে!