পাবনার ফরিদপুরে ফসলি জমিতে অবৈধভাবে মাটি কেটে পুকুর খনন করার মহোৎসব । অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের ফলে এ উপজেলায় একদিকে আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমির পরিমাণ অন্যদিকে জমি ও গ্রামীণ কাঁচাপাকা সড়কের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হছে। এসব মাটি প্রকাশ্যে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রিও করা হচ্ছে।প্রশাসন খননকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় দিশাহারা হয়ে উঠেছে কৃষকরা।
এলাকাবাসীরা জানান, মাছ চাষের কথা বলে পুকুর খনন করে শতাধিক বিঘা ফসলি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটা ও স্থাপনা নির্মাণকারীদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করে আসছেন মাটি ব্যবসায়ী মোঃ মুহিন সরদার। মাটি বিক্রেতারা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা কোনোভাবেই মাটিকাটা বন্ধ করতে পারছি না। তাই আমরা সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে মাটি বিক্রি ও ফসলি জমিতে পুকুর খননের কাজ বন্ধের জোর দাবি জানাচ্ছি।
সরেজমিন দেখা যায়, ফরিদপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বেড়হাউলিয়া উত্তরপাড়া এলাকায় ভূমি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি বিক্রির মহোৎসবে মেতেছে (মাটি ব্যবসায়ী) ভূমিদস্যুরা। এস্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে প্রায় ৪ বিঘা ফসলি জমির মাটি কেটে পুকুর খনন করা হচ্ছে। সেখানে প্রায় ১৫ থেকে ২০টি ইঞ্জিনচালিত (কুত্তাগাড়ি) ট্রলি দিয়ে মাটি বহন করা হচ্ছে। মাটি ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তা বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতি গাড়ি মাটি বিক্রি হচ্ছে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকায়।
মাটি ব্যবসায়ী মো:মুহিন সরদার ফরিদপুর উপজেলার চিতুলিয়া গ্রামের মো:মৃত গ্রহের সরদারের ছেলে।
পুকুর খনন করার অনুমতি আছে কি না জানতে চাইলে পুকুর খননকারী মো: মহিন সরদার বলেন, থানা ও এসিল্যান্ড অফিসের কয়েক জনের সাথে কথা বলেই কাজ করছি। তবে অনুমতি দাতাদের পরিচয় না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা: জেসমিন আরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে জানাতে বলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা: মুর্সিদা খাতুন বলেন, তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।