কামরুজ্জামান কানু, জামালপুর:
দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের টি,আর,কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০২০ ইং অর্থ বৎসরের জামালপুর জেলার মেলান্দহে নির্মিত ৫৪ টি ঘর মরণ ফাঁদে পরিনত হচ্ছে। ২০১৮-২০১৯ ইং অর্থ বৎসরে প্রতিটি ঘরের বরাদ্দের চাইতে খরচ বেশি দেখিয়ে আরও পঞ্চাশ হাজার টাকা বরাদ্দ বাড়িয়ে একই মাপের প্রতি ঘরে ২ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮৬০ টাকা দিয়েও ঘরগুলি মৃত্যুকূপে পরিনত হচ্ছে। কাজের মান এত নিম্ন মানের যে, কোন সময় বাতাসের গতি একটু বেশি হলে ঘর গুলি পরে যাবে। যে কোন মুহুর্তে ঘরে বসবাসকারী নারী, শিশু, বৃদ্ধের প্রাণহানি ঘটতে পারে। চলমান মেলান্দহ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের রমজান আলীর বাড়ীতে নির্মান কাজের ৮দিন পূর্বে নির্মিত ২টি পিলার গতকাল ভেঙ্গে পড়ে। সরে-জমিনে তদন্ত করে দেখা গেছে, এক ইটের উপর আর একটি ইট বসাতে মাঝে সিমেন্ট মিশানো বালু দিতে হয়। যা একেবারেই পাতলা।
শুকিয়ে জয়েন্ট ছেড়ে দিয়েছে। উক্ত ঘরগুলি মাননীয় এমপি মহোদয় ও জেলা প্রশাসকের তদন্ত দাবী করছে গৃহহীন ভোক্তারা। আরও জানা গেছে, প্রতি ঘরে কাজ শুরু করার পূর্বেই ঘর মালিকের কাছ থেকে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেওয়ার তথ্যও পাওয়া গেছে। কিন্তু তারা ভয়ে মুখ খুলতে পারছেনা। কোন কোন জায়গায় ঘর মালিকদের কাছ থেকে সিমেন্ট, বালি, রং ও সেন্টারিংয়ের কাঠ কিনে নিতেও দিধাবোধ করে নাই। এক বেলা ওদেরকে ভাল খাবার না দিলে রাগান্মি হয়ে যায়। এ ছাড়াও তদন্তে দেখা যায় যে, মেলান্দহ উপজেলায় বরাদ্দকৃত প্রতিটি ঘরে বালি, ইট ও কাঠ অত্যন্ত নিম্ন মানের। আরও জানা গেছে, ২০১৮-২০১৯ ইং অর্থ বৎসরে উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন ভালুকা গ্রামে আব্দুর রশিদ এর ঘরটি সিড়িবিহীন এখনও অবস্থানরত।