লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৫শ’ হেক্টর সরিষা চাষ বেশি
চাটমোহরের মাঠে মাঠে হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ
চলনবিলের দিগন্তজুড়ে হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ। চাটমোহরসহ বিভিন্ন এলাকায় মাঠে মাঠে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। সরজমিনে দেখা যায়, এ বছর চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল, নিমাইচড়া, ছাইকোলা, বিলচলন, হরিপুরসহ উপজেলার মাঠে মাঠে সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে। দু’চোখ যেদিকে যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। চাটমোহরের মাঠে প্রকৃতি যেন সেজেছে আপন মহিমায়। এমন নয়নাভিরাম সরিষা ফুলের দৃশ্য, ফুলের গন্ধ, পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর মৌমাছির গুঞ্জন মনকে বিমোহিত করে। দিগন্তজুড়ে হলুদ সরিষা ফুলে কৃষক স্বপ্ন বুনছে।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ও পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেলে কৃষক সরিয়ায় ভাল ফলনের আশা করছেন। বিগত বছরের তুলনামূলক এ বছর সরিষার আবাদ অনেক ভাল হয়েছে। তাছাড়া সময়মতো সার-কীটনাশক ব্যবহারের কারণে সরিষার আবাদ করতে কৃষকের কোন প্রকার বেগ পেতে হয়নি।
চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল পাকপাড়া গ্রামের কৃষক রাহিম উদ্দিন বলেন, বিল থেকে দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় ও আবহাওয়া ভালো থাকায় আমি ৬ বিঘা সরিষার আবাদ করেছি, অনেক সুন্দর ফলন হবে আশা করছি। নিমাইচড়ার মাঝগ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন এ বছর সাড়ে ১০ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। উপজেলার দরাপপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম সেও ৫ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন, সে আশা করছেন আবহাওয়া ভাল থাকলে এবার প্রতি বিঘা জমিতে ৬-৭ মণ হারে সরিষা ঘরে তুলতে পারবে।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, উপজেলায় কয়েক দফা বন্যার পানি এলেও দ্রুত মাঠ থেকে পানি নেমে যায়। এ জন্য মাঠের মধ্যে জলাবদ্ধতা না থাকার কারনে অনেকেই সরিষা বীজ ফেলেছে সুবিধাজনকভাবে। তাই, এ বছর সরিষা আবাদ গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে।
উপজেলায় এ বছর ৬ হাজার ৭শ’ ৪৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। এ বছর লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬ হাজার ৩শ’ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৫শ’ হেক্টর সরিষা চাষ বেশি হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে উপজেলার ৪ হাজার ২শ’ কৃষককে সরিষা বীজ ও সার প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। কৃষককে সরিষা চাষে ব্যাপক সচেতন করা হয়েছে। সরিষা চাষের পদ্ধতি ও পোকার আক্রমণ হলে কি করণীয় সে বিষয়ে কৃষককে সচেতন করেছেন।