তাড়াশ সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
আর ১৬দিন পরে পবিত্র ঈদুল আযহা। ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে গরু বিক্রি নিয়ে চিন্তিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশে গরু পালনকারী ও ব্যবসায়ীরা। উপজেলার দেশী গরুর উৎপাদন ও চাহিদা বাড়লেও তা বিক্রি নিয়ে রয়েছে সংশয়।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ২৩ হাজার ১৬৬টি পশু প্রস্তুত আছে। যার মধ্যে ৯ হাজার ৫০০ টি গরু, ১২ হাজার ৭০০টি ছাগল, ভেড়া ৯ শত ৩৯টি ও ২৭টি মহিষ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উপজেলায় বড় পশুর হাট রয়েছে ৬টি। এসব হাট ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরো ছোট ছোট হাট-বাজারে বিক্রির জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার গরু ছাগল নিয়ে যাচ্ছেন খামারিরা। কিন্তু কেনাবেচা একদম কম। বাইরের ব্যাপারীদেরও দেখা মিলছে না।
উপজেলার তালম ইউনিয়নের চৌড়া গ্রামের গরু পালনকারী ফরহাত বলেন, বাড়িতে আমার ১০টি গরু রয়েছে। যা তিনি সারা বছর লালন পালন করে বড় করেছেন এই ঈদে বিক্রির জন্য। করোনা ভাইরাসের কারণে তিনি সংশয়ে আছেন গরু বিক্রি নিয়ে। ঈদের আর ১৪/১৫ দিন বাকী অথচ তিনি এখনও একটি গরুও বিক্রি করতে পারেননি। তার উপরে তিনি অনলাইন শপিং সম্পর্কে কিছুই জানেনা।
বর্তমান এই করোনা পরিস্থিতির কারনে গরু পালনকারী, ব্যবসায়ী ও খামারীরা যাতে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন সেজন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা ডা. এ. জে. এম. সালাহ উদ্দিন বলেন, আসন্ন কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে ২৩ হাজার ১৬৬ টি পশু প্রস্তুত রয়েছে। যা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে আশেপাশের জেলাগুলোর চাহিদা মিটাতে পারবে।
তিনি আরো জানান, এবার করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারণে যাতে মানুষ ঘরে বসে গরু ক্রয় করতে পারেন সেজন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি অনলাইন খোলা হচ্ছে। সেখানে গরুর ছবি ও মালিকের মোবাইল নাম্বার থাকবে ক্রেতা সাধারন ছবি দেখে গরু মালিকের সাথে কথা বলে দাম ঠিক করে তা ক্রয় করতে পারবেন।