আমি এই বিষয় বিষয়টা নিয়ে ভীষণভাবে বিরক্ত ছিলাম। তারা বিভিন্নভাবে গ্রামে সাধারণ জনগণকে লোভ দেখিয়ে টিকিট বিক্রি করছে। এক কথায় বলা যায় ডাকাতি সুকৌশলে। গ্রামের অসহায় মানুষগুলো লোভে পড়ে তাদের সর্বোচ্চ হারিয়ে নিরুপায় হয়ে যায়।
পাবনার ঈশ্বরদীতে তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলার নামে গত কয়েকদিন যাবৎ চলছে অনুমোদনবিহীন লটারির রমরমা ব্যবসা। এ মেলার লটারির টিকিট বিক্রির সময় ১৯ নভেম্বর শনিবার দুপুরে চাটমোহর পৌরসদরের শাহী মসজিদ মোড়ে এলাকাবাসী সাত টিকিট বিক্রেতাকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুর হাটের পন্ডিতপুর গ্রামের সাজু, ভাদশা গ্রামের মেশকাত, নূর আলম ও আহাদ, দেবরাইল গ্রামের মতিবুল, কান্দি গ্রামের নাহিদ ও বুলপাড়া গ্রামের মিঠু।
আটকের সময় তাদের কাছ থেকে নয়টি মাইক সেট, নয়টি ড্রাম, কয়েক হাজার অবিক্রিত টিকিটও লটারির অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।
এ সময় চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) জালাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, কার, মোটরসাইকেল, ষাঁড়, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নগদ টাকাসহ বিভিন্ন লোভনীয় সব পুরস্কারের কথা বলে চাটমোহর, আটঘরিয়া, আতাইকুলা, ঈশ্বরদী, লালপুর, পাবনা সদরসহ আশেপাশের কয়েকটি উপজেলায় লটারির টিকিট বিক্রি করে সংশ্লিষ্টরা প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
টিকিট বিক্রেতা সাজু জানান, শনিবার কেবলমাত্র চাটমোহরে ৪০টি অটোবাইকযোগে বিভিন্ন ইউনিয়নে টিকিট বিক্রি চলছিল। লটারির ব্যাপারে মেলার সাথে যুক্তদের বারবার ফোন করা হলেও ফোনে তাদের পাওয়া যায়নি।