সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

ইসলামে স্বাস্থ্যসচেতনার গুরুত্ব – মাওলানা শামীম আহমেদ

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৩৮ অপরাহ্ণ

মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব। জ্ঞানের জন্যই মানুষ এই শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করেছে। মানুষ প্রকৃতিরই অংশ। প্রকৃতির নিয়ম উন্মোচন এবং তার গতিবিধি বুঝে তাকে ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ করা মানুষের জ্ঞানের কাজ। এ জন্য আল্লাহ তাআলা মানুষকে জ্ঞান দান করেছেন এবং তা ব্যবহার করে জীবনযাপনে সেটি প্রয়োগের নির্দেশনা দিয়েছেন।
ইসলামি শরিয়ার মৌলিক উদ্দেশ্যাবলি বা মাকাসিদুশ শরিয়াহ হলো পাঁচটি—যথা: জীবন রক্ষা, সম্পদ রক্ষা, জ্ঞান রক্ষা, বংশগতি রক্ষা ও ধর্ম রক্ষা। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘তোমার শরীরেরও হক বা পাওনা রয়েছে তোমার ওপর।’ (মুসলিম ও তিরমিজি)। শরীরের হক হলো স্বাস্থ্যসুরক্ষা, এ জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা।
রাসুলুল্লাহ (সা.) অত্যন্ত স্বাস্থ্যসচেতন ছিলেন। তিনি মানবজাতির জন্য সর্বকালের সর্বোত্তম আদর্শ। স্বাস্থ্যসুরক্ষার অন্যতম প্রধান অবলম্বন হলো পবিত্রতা এবং পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা। ইবাদতগুলোর মধ্যে প্রধান ইবাদত হলো সালাত বা নামাজ। নামাজের জন্য পবিত্রতা প্রথম এবং প্রধান শর্ত।
কপাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ও পাঁচ ওয়াক্ত নফল নামাজ আদায় করতে হলে ১০ বার অজু করা হয়। এ ছাড়া খাওয়ার আগে–পরে এবং ঘুমের আগে–পরে অজু করে আমরা পবিত্র হই। ঘর থেকে বের হওয়ার আগে ও ঘরে ফেরার পরও অজু করা সুন্নত। আমাদের নামাজের জন্য আমরা মসজিদগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বা পরিপাটি রাখি।
যেহেতু সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করা সুন্নত, তাই আমাদের ঘরদোরও আমরা পরিষ্কার ও পবিত্র রাখি; সর্বোপরি পুরো দুনিয়াটা আখেরি নবীর উম্মতের জন্য বৃহৎ মসজিদরূপে পরিগণিত, তাই আমরা আমাদের আঙিনা, আশপাশ ও পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখি।
স্বাস্থ্য আল্লাহর এক অশেষ দান ও অনুগ্রহ। মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে তাকে অবশ্যই শরীর ও স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। সব সময় নিয়মিতভাবে শরীর ও স্বাস্থ্যের পরিচর্যা করতে হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে বা উদাসীনতা ও অবহেলার কারণে অসুস্থ হলে অবশ্যই তাকে কিয়ামতের দিন এ জন্য শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। তা ছাড়া অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা গ্রহণের চেয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সুস্থ থাকাকে ইসলাম অধিক উৎসাহিত করেছে। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন বান্দাকে নিয়ামত সম্পর্কে প্রথম যে প্রশ্নটি করা হবে, সেটা হলো তার সুস্থতাবিষয়ক। তাকে বলা হবে, আমি কি তোমাকে শারীরিক সুস্থতা দিইনি?’ (তিরমিজি)।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর