মোঃ দুলাল হক,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে গোবাদী পশুর ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজ। গ্রামের পর গ্রাম বিভিন্ন বয়সের গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়ে কষ্ট ভোগ করছে।সকাল হলেই পশু হাসপাতালে রোগাক্রান্ত গরু নিয়ে ভীড় করছেন খামারীরা।আর এসব গরুর চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ প্রাণী সম্পদ অফিস।সকাল হলেই খামারীদের ভীড় জমে উঠছে।অনেকে রোগাক্রান্ত গরু-বাছুর নিয়ে হাসপাতালে ভীড় করছেন। চিকিৎসকরাও তাদের সাধ্যমত চিকিৎসা দিয়ে আসছেন।শুধু এই হাসপাতালেই প্রত্যহ ২ থেকে আড়াইশ গরুর চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, পীরগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৫/৬টি ইউনিয়নে ইতোমধ্যে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগ।প্রায় ৪ হাজার গবাদী পশু ইতোমধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। খামারীদের সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রাণী সম্পদ বিভাগ ইতোমধ্যে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছেন।পরামর্শ দিচ্ছেন গ্রাম্য হাতুড়ে চিকিৎসকের মাধ্যমে চিকিৎসা না দিতে।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. অমল কুমার রায় বলেন, গত মে মাসের শেষের দিক থেকে লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগটির প্রাদুভার্ব দেখা দেয়।বর্তমানে উপজেলার প্রায় ৫/৬টি ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়েছে।এ রোগে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।আপনা আপনি ৭-১০ দিনের মধ্যে এ রোগটি সেরে যায়। আক্রান্ত গরুকে প্যারাসিটামল ও এন্টি হিসটামিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।তবে কোনক্রমে পল্লী চিকিৎসক দিয়ে হায়ার এন্টিবায়েটিক ও ব্যাথা নাশক ওষুধ প্রয়োগ করলে গরুর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।