কামরান পারভেজ ইভান, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার মালতী গ্রামে ইবরাহীম(৬২) ও তার তিন ছেলে জামরুল(৪৫), করিম(২৭), সাদ্দাম (২৪) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর ওপর নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি গত ০৯ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিকেলে মালতী গ্রামে ঘটেছে। প্রতিবেশী জোসনা বেগম (৫৮) জানায়, তার ছাগলকে ইবরাহীমদের পোষ্য কুকুর কামড় দেওয়ার চেষ্টা করলে সে হাতের কাছে থাকা কাঠ কাটার লোহার দা দিয়ে কুকুরকে আঘাত করে। এতে কুকুরের ডান পা কিছুটা কেটে যায়। এটি নিয়ে তারা তাদের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে আসে। বাড়ির গেইট বন্ধ পেয়ে বাড়িতে ঢুকতে না পেরে তাদের বাড়ির সীমানা টিনের বেড়া ভাংচুর ও বিভিন্ন প্রকার হুমকী দিয়ে দিয়েছে।
গ্রামবাসী অভিযু্ক্ত ওই পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে।এলাকায় তাদের প্রভাবে মানুষ অতিষ্ট। জমির সীমানা গাছ, পোষ্য কুকুর, জোরপূর্বক জমি বেদখলসহ নানা অভিযোগ করেন।
প্রতিবেশী মৃত জোহের আলীর স্ত্রী জোহরা খাতুন জানায় (৫৫), তার ছেলে লিটন (২৯) জন্মগত ভাবে মানসিক প্রতিবন্দী। লিটনকে তার বউ কেউ নিয়ে গেছে সাদ্দাম এমন মন্তব্য করলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে এক পর্যায়ে সাদ্দামের মা তার জামার কলার ধরে বাড়ি তুলে নিয়ে গেলে সাদ্দাম ও তার ভাইয়েরা মিলে শারিরীক নির্যাতন চালায়। সে অনেককে বলেও কোন বিচার পায়নি।
অন্য প্রতিবেশী সাবিনা ও ফজল অভিযোগ করেন, তাদের ছাগলকে কুকুরটি মেরে ফেলেছিল। জানাতে গেলে তারা আমাদের ওপর আরো ক্ষিপ্ত হয়। গ্রামবাসী মিলে কুকুরটিকে মেরে ফেলতে বললেও তারা শুনতে নারাজ।
স্থানীয় ইউপি চেয়্যারম্যান শুক্কুর মাহমুদ বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি তাক্ষনিক আমার প্রতিনিধি পাঠিয়ে ঘটনা সম্পর্কে অবগত হইয়াছি। এর আগেও ওদের বিরুদ্ধে অনেক গুলো অভিযোগ এসেছে তা সমাধান করার চেষ্টা করলেই তারা তাতে সংশোধন হওয়ার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করে নাই। ওরা ওদের বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে এলাকায় এই ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
এবিষয়ে কালিহাতীর থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান আল মামুন জানায়, তাদের কুকুরের ব্যাপার ও গ্রামে ঝামেলার কথা জানতে পেরেছি। বাড়ি ভাংচুরে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করলে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।