পাবনার আটঘরিয়ায় উচ্চ ফলনশীল জাতের রবি-১ জাতের পাট বীজ উৎপাদন করে সফলতার আশা করছে জাতীয় বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক কৃষক দুলাল মৃর্ধা। নতুন জাতের এই পাট থেকে সাধারন বেশি ফলন পাচ্ছে কৃষকরা। মাত্র ১১০ দিনেই এই পাট থেকে বীজ সংগ্রহ করা যায় বলে উপজেলার কৃষকরা এই পাট চাষ করে বীজ উৎপাদনের দিকে ঝুকছে।
আটঘরিয়া পৌরসভার হাজিপাড়া গ্রামের জাতীয় বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষক দুলাল মৃর্ধা এবার দেড় বিঘা জমিতে এই রবি-১ জাতের পাট চাষ করে বীজ উৎপাদন করে সাড়া জাগিয়েছেন। এই বরি-১ জাতের পাট বীজ প্রতি মন বিক্রি হচ্ছে ৯০০০ থেকে ১০ হাজার টাকা দরে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে সাধারন ভারতীয় পাট বীজ ব্যবহার করে পাট উৎপাদন করে কৃষকরা। কিন্তু অনেক সময় ভারতীয় পাট বীজ থেকে ফলন তেমন হয় না। লোকসানে পড়ে কৃষকরা । এছাড়াও ভারতীয় বীজের অনেক দাম। সোনালী আশের পুরানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে নতুন উদোমে মাঠে নামে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট। তারা এই রবি-১ জাতের পাট বীজ উৎপাদন করেন।
আটঘরিয়া পৌরসভার হাজিপাড়া গ্রামের কৃষক বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষক দুলাল মৃর্ধা জানান, তিনি এবার দেড় বিঘা জমিতে এই রবি-১ জাতের পাট বীজ বোপন করেন। তিনি আশা করছেন দেড় বিঘা জমিতে প্রায় ৮ থেক ৯ মন রবি-১ জাতের পাট বীজ উৎপাদন করতে পারবেন। ফল অনেক ভাল হয়েছে। এবার খরচও কম হয়েছে।
আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার সজীব আল মারুফ জানান, উপজেলার ৫টি ইউনয়িন ও একটি পৌরসভায় ১শ হেক্টর জমিতে বরি-১ জাতের পাট বীজ উৎপাদনে জন্য আবাদ করছে এলাকার কৃষকরা। তারা আশা করছে প্রতি বিঘা জমি থেকে ৩ থেকে ৪ মন করে বীজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এক বিঘা জমি থেকে একজন কৃষক মাত্র ১১০ দিনে ২০-২৪ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এ উপজেলায় যে সকল কৃষক এই পাট বীজ উৎপাদন করছে তাদেরকে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও উপসহকারী কৃষি অফিসারা নিয়মিত কৃষকের সাথে যোগাযোগ করছেন।
তিনি বলেন, এই জাতের পাট বীজ উৎপাদন করে কৃষকরা অল্প দিনেই লাভবান হবেন। এলাকায় যদি আরো বেশি পাট বীজ উৎপাদন করা যায় তাহলে আগামীতে এলাকায় আরো বেশি বেশি এই রবি-১ জাতের পাটবীজ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।