মানুষের বয়স বাড়লে শ্রবণশক্তি কমতে শুরু করে। তবে হঠাৎ করেই কিন্তু শ্রবণশক্তি কমে যায় না। ধীরে ধীরে তা কমতে শুরু করে। আর এ কারণেই অনেকেই শ্রবণশক্তি হারানোর লক্ষণ টের পান না। এ ক্ষেত্রে যদিও সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যদি লক্ষণ বুঝে প্রাথমিক অবস্থায় এ সমস্যার চিকিৎসা করা হয় তাহলে ব্যক্তির মধ্যে বিষণœতা, বিচ্ছিন্নতাবোধ ও পরে স্মৃতিশক্তির সমস্যা দেখা দেয়। তাই কয়েকটি লক্ষণ দেখলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
শিশুদের কণ্ঠস্বর অস্পষ্ট শোনা : বার্ধক্যের কারণে অভ্যন্তরীণ কানের অঙ্গ উচ্চপিচের শব্দগুলো শনাক্তে প্রথমে ব্যর্থ হয়। এর ফলে শিশু ও নারীদের কণ্ঠস্বর শোনা কঠিন হয়ে পড়ে। এমনকি সূর্যাস্তের সময় পাখির কিচিরমিচিরের শব্দও কানে না আসার লক্ষণ কিন্তু মোটেও সুবিধার নয়।
ভিড়ের মধ্যে কথোপকথনে অসুবিধা : বেশি জনসমাগম আছে এমন স্থানে কারো সঙ্গে কথা বলার সময় যদি আপনি অমনোযোগী হয়ে পড়েন তাহলে বুঝবেন কানে কোনো সমস্যা আছে। ভিড়ের মধ্যে এমন শব্দ আপনার কাছে এফ বা এসের মতো শোনাতে পারে। আপনার যদি উচ্চশব্দ শুনতে সমস্যা হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি আশপাশের মানুষের কথার চেয়ে শোরগোল বেশি শুনবেন। এমন সমস্যা হলে আজ থেকেই সতর্ক থাকুন।
কারো কথা ধরতে না পারা : কারো কথা ধরতে না পারা কিংবা হঠাৎ করেই কারো কথা বুঝতে না পারার কারণ হতে পারে শ্রবণশক্তি হারানোর প্রাথমিক লক্ষণ। বিশেষ করে যখন একসময়ে একাধিক ব্যক্তি কথা বলে তখন যদি আপনি কথাগুলো সঠিকভাবে শুনতে না পান তাহলে দ্রুত অডিওলজিস্টের পরামর্শ নিন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।