বর্তমান সমাজে দেখা যায় পরকিয়া নামক শব্দটি।যা সংক্রামন রোগের মতো ধীরে ধীরে ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করতেছে।আসুন যেনে নেই স্ত্রীর ভালোবাসা যেভাবে অর্জন করবেন।
(১) নিজেকে দ্বীনদ্বার, পরহেজগার ও সুন্দর চরিত্রের অধিকারী হিসেবে গড়ে তুলুন(২)পরিষ্কারপ ও পরিচ্ছন্ন দেহ এবং পরিপাটি পোশাক পরিধানে যত্নবান হওয়ার চেষ্টা করুন। ধূমপান ও নেশা দ্রব্য থেকে পরিপূর্ণ বিরত থাকুন। মুখের দুর্গন্ধের ব্যাপারেও সতর্ক থাকুন।(৩) পুরুষসুলভ আচরণ করুন। কখনোই এমন কোন কাজ করবেন না, যেটা কাপুরুষতার পরিচায়ক। মনে রাখবেন, মেয়েরা সবকিছু সহ্য করতে পারে কিন্তু কাপুরুষ স্বামী নয়। (৪)মনের ভুলেও কখনো স্ত্রীর সামনে হোক আর স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে হোক, কখনোই অন্য কোন মেয়ের দিকে দৃষ্টি দেবেন না।(৫) স্ত্রীকে একা রেখে কখনোই দীর্ঘ কাল ভ্রমনে বা কাজের উদ্দেশ্যে বাহিরে থাকবেন না। আর যদি একান্তই আপনাকে দীর্ঘ কাল বাহিরে থাকতে হয় তবে অবশ্যই অবশ্যই স্ত্রীকে সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন।(৬)আপনার স্ত্রীর বাপের বাড়ি নিয়ে অকারণে খোটা দেবেন না বা তাঁদেরকে অসম্মান করবেন না। এতে স্ত্রীর চোখে আপনি খুবই ছোট মনের মানুষ হিসাবে পরিগণিত হবেন। (৭) টাকার জন্য ছ্যাবলামো করবেন না। পাই পাই পয়সা হিসাব করা, শ্বশুর বাড়ি থেকে যৌতুক বা উপহার চাওয়া ইত্যাদি কাজ করবেন না মোটেও।(৮)যদি আপনার স্ত্রী আপানার সাথে রেগে গিয়ে চেঁচাতে থাকে, আপনি চুপ থেকে তাকে চেঁচাতে দিন। আপনি মনে করুন, এটা আপনার ঘরের একটি তোতা পাখি, এই পাখিটি কিচিরমিচির করে চেঁচাচ্ছে আর আপনি চুপচাপ সেই কিচিরমিচির শুনছেন। দেখবেন আপনাদের বিবাদ অনেক দ্রুত থেমে গেছে। পরে যখন সে শান্ত হবে, তখন আপনি আপনার কথা বোঝাবেন। (৯) তাহাজ্জুদ নামাজের সময় তাকে ডাকুন এবং আপনার সাথে তাকেও নামাজ পড়তে বলুন। প্রতিদিন, প্রতি ওয়াক্তের নামাজে আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি আপনাদের মধ্যকার ভালবাসার ও সহমর্মিতার বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে দেন এবং শয়তানের অনিষ্ট থেকে হেফাজত করেন। দোয়ার মত কার্যকরী কিছুই নেই। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালবাসা তখনই থাকে যখন আল্লাহ তাদের মাঝে এটা দেন।(১০)আপনার স্ত্রী যেমন, তাতেই আপনি সন্তুষ্ট থাকার চেষ্টা করুন। কারণ, কেউ নিখুঁত নয়, আপনিও নন। আর যদি, ত্রুটিহীন, নিখুঁত সঙ্গী চান তাহলে জান্নাতে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সেখানে আপনি এবং আপনার স্ত্রী দু’জনেই হবেন নিখুঁত ও ত্রুটিহীন।