ঝালকাঠি প্রতিনিধি:
ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় সাবকবলাকৃত জমির বাড়ি ঘর হতে জোরপূর্বক উচ্ছেদের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তৎকালিন বরিশাল জেলার কাঠালিয়া উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের নিবাসী আঃ কুদ্দুস হাওলাদার গত ১৩মার্চ ১৯৮২ সালে একই গ্রামের আছিয়া খাতুন এবং ১৩ মার্চ ১৯৮৫ সালে বরিশাল জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার সিংখালী গ্রামের আলফাজ উদ্দিনের নিকট থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ (দলিল নং ৯৩৫), মঠবাড়িয়া উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের নুরভানু,সুরাতন বিবি, ছোট আরজি গ্রামের আলেয়া খাতুনের নিকট থেকে পৌনে ৭ শতাংশ (দলিল নং ১৪২০) জমি সাব কবলা করেন। যার ষ্টেশন কাঠালিয়া, জেএল ৯নং তারাবুনিয়া মৌজা, এসএ ২৭১নং খতিয়ান দাগ নং ১১৮২।
উক্ত জমি ক্রয়ের পর ক্রেতা আঃ কুদ্দুস হাওলাদার বসবাসের জন্য একখানা টিনের ঘর নির্মাণ করেন। দীর্ঘদিন বসবাসের পর একই এলাকার বাসিন্দা চান মিয়া ঘরামীর ছেলে মো: আলী হোসেন ঘরামী জমির মালিকানা দাবী করে আঃ কুদ্দুস হাওলাদারকে কিছু দিন পূর্বে হঠাৎ ঘর সরাইয়া অন্যত্র নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। কুদ্দুস হাওলাদার জানান, আমার ঘরের পাশ থেকে নতুন রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় জমির গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আমার ঘরবাড়ির ও জমির উপর মো: আলী হোসেনের কুনজর পড়ে। আমি যাতে অন্যত্র চলে যাই সেজন্য আলী হেসেন আমার ঘরবাড়ীর উপর রাতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। সে আমার ঘর বাড়ী জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি ধমকি দিচ্ছে।
আমাকে ঘর বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার জন্য অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগ করছে। আমি প্রশাসনের নিকট আমার জান মাল রক্ষা ও শান্তিতে বসবাস করতে পারি তার সদয় সুদৃষ্টি কামনা করছি।এ বিষয়ে মোঃ আলী হোসেন ঘরামী সাংবাদিকদের জানান, আমি একই দাগ খতিয়ানের পার্শ্ববর্তী জমির মালিক। রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় আমি জমি পাল্টাইয়া নিতে চাই। কিন্তু আঃ কুদ্দুস জমি পাল্টাইয়া নিতে রাজি হচ্ছে না। এ ঘটনা নিয়ে যেকোন সময় আইন শৃঙ্খলা অবনতি এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকার সচেতন মহল মনে করেন।