সামনেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আর কিছুদিন পরই দেবী দুর্গা আসছেন মর্তলোকে। তার আগমনকে ঘিরে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাটমোহরের বোথর, বালুচর ও মির্জাপুর পাল পাড়ার প্রতিমা তৈরির কারিগররা। দিনরাত পরিশ্রম করে নিপুণ হাতে তৈরি করছেন প্রতিমা। তবে প্রতিমা তৈরির উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও কাঙ্খিত মূল্য পাচ্ছে না বলে অভিযোগ কারিগরদের।
চাটমোহরের বোথর পাল পাড়ার প্রতিমা তৈরির কারিগর ষাটোর্ধ্ব সতেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে রাতদিন কাদামাটি দিয়ে একটু একটু করে নিপুণ হাতে গড়ে তুলছেন দেবী দুর্গার প্রতিমা।
পূজা অনেকটা ঘনিয়ে আসায় তার মতো ব্যস্ত পাল পাড়ার মৃৎশিল্পীরাও। শক্ত মাটি নরম করে দেবী দুর্গার সাথে গড়ে তুলছে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী আর সরস্বতীর মূর্তি। কাজের চাপ বেশি থাকায় পুরুষদের পাশাপাশি কাজ করছেন নারীরাও। এখন চলছে খড় আর কাদামাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির প্রাথমিক কাজ। এরপর প্রতিমাতে দেয়া হবে রং তুলির আঁচড়।
এ বিষয়ে কারিগর সতেন্দ্রনাথ জানান, প্রতিমা তৈরির বাঁশ, খড়, মাটিসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বৃদ্ধি পেলেও বাড়েনি প্রতিমার মূল্য। আর্থিকভাবে লাভবান না হলেও পৈত্রিক পেশা ধরে রাখতে এ কাজ করে যাচ্ছেন কারিগররা।
চাটমোহর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অশোক চক্রবর্তী জানালেন, আসন্ন দুর্গা পূজার সব ধরনের প্রস্তুতির কাজ ঠিকভাবেই এগিয়ে চলছে। এ বছর চাটমোহরে ৫২টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপুজার আয়োজন করা হয়েছে। চাটমোহর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুর্গা পুজায় সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন।
বাংলাদেশ পূঁজা উদ্যাপন পরিষদ, পাবনা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাদল কুমার ঘোষ জানান, আগামী ১ অক্টোবর ষষ্টিপুজার মাধ্যমে দূর্গা পুজা শুরু এবং ৫ অক্টোবর লাখো ভক্তের উপস্থিতিতে পাবনা জেলায় মোট ৩৫৯ টি প্রতিমা বিসর্জন উৎসব হবে। তিনি আরো বলেন, সরকারি নির্দেশ মোতাবেক জেলার প্রতিটি মন্ডবে সিসি ক্যামারা স্থাপন করা হবে।
এ বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জালাল উদ্দিন জানান, শারদীয় দুর্গাপূজায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ও প্রতিমা বিসর্জন উৎসবে নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় থানা পুলিশের পাশাপাশি পূজা মন্ডপে থাকবে আনসার, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সদস্য।