বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

পাবনায় আলোচিত হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ

পাবনার সাঁথিয়ায় আলোচিত রাজা হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পাবনা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ও জেলা পুলিশের সহযোগিতায় সাঁথিয়া থানা পুলিশ এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে।
বুধবার (০৭ সেপ্টেম্বর) পাবনা জেলা পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় সাঁথিয়া উপজেলার শ্রীধরকুড়া গ্রামের মৃত সিরাজ প্রামানিকের ছেলে রাজা প্রামিানিক (৫০) তার পরিচিত অনিক হোসেন (১৮), হৃদয় হোসেন (১৯) ও প্রতিবেশি জয়নাল (২৫) এর সাথে সিএনজিযোগে পিকনিক খাওয়ার কথা বলে কাশিনাথপুরের দিকে যায়।
যথাসময়ে রাজা বাড়িতে না ফেরায় তার স্ত্রী রাশিদা স্বামীর মোবাইলে ফোন দিলে সিএনজি চালক জয়নাল ফোনটি রিসিভ করে বলেন, রাজা তার মোবাইলফোনটি রেখে কোথায় যেন গেছে। ঐদিন রাতে রাজা বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুজি করে।
খোঁজাখুঁজির তিনদিন পর গত ২০ জুলাই সকাল ৯ টার দিকে সাঁথিয়া থনাধীন সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী সেচখালের কচুরিপানার মধ্যে রাজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে রাজার স্ত্রী রাশিদা খাতুন বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় মামলা করেন, যার নম্বর- ২২,তারিখ ২১ /৭/২০২২, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড।
রহস্য উদঘাটনে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে সিএনজি চালক জয়নাল, হৃদয় হোসেন ও পিয়াস সরকারকে গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারের পর আসামীরা গুরুতপূর্ণ তথ্য দিলে তাদেরকেগ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে।
পরবর্তীতে পুলিশ ঢাকা, গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে সাঁথিয়ার বরাট সেনাকুড়া গ্রামের দুলাল খানের ছেলে মামুন খান (২৩), আনিছ ফকিরের ছেলে আশিক ফকির (২৫)কে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেন। মামুন খান আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামুন খান জানায়, রাজা মাদকের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। মাদক খাওয়ার টাকা পয়সাকে কেন্দ্র করে হৃদয় ও অনিকের সাথে ঝামেলা ছিল । অপর আসামি মামুন ও জুয়েলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে সাঁথিয়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে একটি মামলা ছিল। এই মামলার সোর্স হিসেবে ভিকটিম রাজা ছিল বলে আসামিদের ধারণা।
আর এই হত্যাকান্ডের মুল পরিকল্পনাকারী রনির সাথে খাসের পুকুর ও জমির দখল নিয়ে বিরোধ ছিল। উক্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে রাজাকে কৌশলে জয়নাল এর সিএনজিযোগে হৃদয় ও অনিককে দিয়ে ডেকে নিয়ে আসার পর গাঁজা খাওয়ার কথা বলে সোনাকুড়া বরাট গ্রামের সরকারী সেচখালের ধারে পাট ক্ষেতে নিয়ে যায় এবং রাত আনুমানিক ১০ টা থেকে ১১ টার মধ্যে রনির নেতৃত্বে হৃদয়, জয়নাল, অনিক, জুয়েল, মামুন, আশিক এনামুল হক ও সোহেল মিলে রাজাকে গলাটিপে হত্যা করে মৃতদেহ পার্শ্ববর্তী সেচখালের কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় আসামি জয়নালের নিকট হতে ভিকটিম রাজার ব্যবহৃত মোবাইলফোন ও সিএনজি উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর