বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৫:১৬ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

আটঘরিয়ায় হাঁস পালনে স্বাবলম্বী আদরী

মাসুদ রানা, আটঘরিয়া(পাবনা)প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৯:১২ অপরাহ্ণ

একদিকে স্বামীর সংসারের ঘানি অন্য দিকে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছেন প্রত্যন্ত গ্রামের এক নারী গৃহিনী আদরী খাতুন। স্বামী-সংসারের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজ পায়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে হাঁস পালন শুরু করে আত্ননির্ভরশীল হয়ে উঠতে শুরু করেছেন তিনি। তার এই প্রচেষ্টা দেখে বাড়তি আয়ের আশায় এলাকার অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন এই হাঁস পালনে। আদরী খাতুন আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে তার বাড়ি। তিনি ঐ গ্রামের কৃষক ইয়াকুব  প্রামানিকের স্ত্রী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বামীর দেওয়া টাকা ও নিজের জমানো টাকা দিয়েই আদরী খাতুন খাটি ক্যামবেল জাতের ৬০০ টি হাঁসের বাচচা ৩ লাখ টাকা দিয়ে কিনে বাণিজ্যিক ভাবে হাঁস পালনের যাত্রা শুরু করেন। তিনি এর আগে বাড়ীতে ৬০০ হাঁসের বাচচা কিনে পালন করে ডিম বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করেছেন। বর্তমানে তার খামারে ৬০০টি ক্যামবেল জাতের হাঁস আছে।
এই হাঁস গুলো প্রতিনিয়ত ডিম দিতে শুরু করেছে। স্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে তার স্বামী ইয়াকুব প্রামামনিক ও ছেলে জয় প্রামামনিক কাজে আর্থিক ভাবে সহায়তা করেছেন। মাঝে মধ্যে স্বামী ইয়াকুব প্রামানিক হাঁসের খামার দেখাশুনাও করেন।
আদরী খাতুনের স্বামী ইয়াকুব প্রামামনিক জানান, আমার স্ত্রী আদরী খাতুন খুবই মেধাবী একজন নারী। তার ইচ্ছা সে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হয়ে নিজে স্বাবলম্বী হওয়া। আমার সংসারে অভাব নেই। আল্লাহের রহমতে জমিজমা সবই আছে। ভালই চলছি। তবে স্ত্রীর ইচ্ছা সে নিজে কিছু করবে। আমি তাকে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছি এবং তাকে টাকাও দিয়েছি। সে সংসার দেখাশুনার পাশাপাশি হাঁস-মুরগীসহ পালনে কঠোর পরিশ্রম করছেন এটা আমার কাছে খুবই আনন্দের। আমি তার সাফল্য কামনা করছি।
খামরী আদরী খাতুন জানান, আমার ইচ্ছা ছিল নিজের পায়ে দাঁড়াবো। প্রথম বছরে আমি ৬০০টি হাঁস দিয়েই খামারে যাত্রা শুরু করি। এবছরও আমি ৬০০টি হাঁসের বাচ্ছা দিয়ে খামার শুরু করেছি। আশা করি হাঁস ও হাঁসের ডিম বিক্রি করেই ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা আয় হবে বলে মনে করছি। আয়ের টাকায় যেমন গরু-ছাগল,মৎস্য,পোল্ট্রি ও কবুতর পালন করার জন্য চিন্তা ভাবনা মাথায় নিয়েছি। এখন আমার আত্ননির্ভরশীল হতে হবে এবং আমাকে দেখি গ্রামের আট দশ জন মহিলা আত্ম কর্মসংস্থানরে সৃষ্টি করবে এটাই আমি চাচ্ছি। কোন ব্যাংক অথবা কোন সংস্থা থেকে বড় ধরণের ঋণ সহায়তা পেলে তাহলে প্রজেট বাড়ালে ১০-১৫ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এটাই আমার চাওয়া।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর