তথ্য সংগ্রহ মোঃ কামাল হোসেন অভয়নগর যশোর থেকে:
এ বিশ্ব জগতের যিনি সৃষ্টিকর্তা,জন্ম-মৃত্যুর নিয়ন্ত্রণ কর্তা তিনিই মহান আল্লাহ্ বাব্বুল আলামিন। মহান আল্লাহ্ এক এবং অদ্বিতীয়। তাঁর কোন অংশীদার বা শরীক নেই,তিনিই সর্বময় ক্ষমতা ও জ্ঞানের অধিকারী। তার অশেষ রহমত ও করুণার মাধ্যমে পৃথিবীর সবকিছু নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালিত হচ্ছে । মহান আল্লাহর একত্ববাদ এবং তাঁর কিছু গুনাবলি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনুল কারীমে ঘোষনা করা হয়েছে, “হে নবী ( সাঃ) আপনি বলে দিন যে,মহান আল্লাহপাক একক,তিনি কারও মুখাপেক্ষী নন। তাঁকে কেউ জন্ম দেয়নি। আর জ্ঞান,শক্তি এবং গুন-গরীমায় অন্য কেউই তাঁর সমান নয়।” অনাদি কাল থেকেই মহান আল্লাহ্ স্বীয় অস্তিত্ব এবং মহিমার সাথে বিরাজ করছিলেন,করছেন এবং ভবিষ্যৎতেও করবেন। সৃষ্টি কুলের উন্নতি-অবনতি,জীবন-মৃত্যু ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়াবলী মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর ইচ্ছায়ই হয়ে থাকে।
এ জগতে আল্লাহর কর্তৃত্ব এবং মালিকানা ছাড়া অন্য কারও কোন অধিকার নেই। এ ব্যপারে পবিত্র কোরআনের আয়াতের মধ্যে বর্ণিত হয়েছে,তিনিই আল্লাহ্ যিনি ছাড়া অন্য কোন ইলাহ বা উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব এবং চিরস্থায়ী, যাঁকে তন্দ্রা এবং নিদ্রা স্পর্শ করতে পারে না। আসমান এবং জমিনে যা কিছু আছে এ সব কিছুর মালিক একমাত্র তিনিই।” পবিত্র হাদীস গ্রন্থে নবী আকরাম (সাঃ) ইরশাদ করন-মহান আল্লাহতা’আলার আসমায়ে হুসনা ( গুণবাচক সুন্দর নাম সমূহ ) নিরানব্বইটি। এগুলো দ্বারা দোয়া প্রার্থনা করার জন্যে মহান আল্লাহ আমাদেরকে আদেশ দান করে উল্লেখ করেন, ওয়ালিল্লাহিল আসমাউল হুসনা ফাদ’ উহু বিহা।” আল্লাহতা’আলার সবগুলো নামই সুন্দর,অতএব তোমরা এসব নামের দ্বারাই তাঁকে ডাক। আল্লাহতা’আলার নিকট মনোনীত দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। তাই আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন ইসলাম। সম্পর্কে আল কুরআনে জলদ গম্ভীর স্বরে বলেন,” ইন্নাদ দ্বীনা ইন্দাল্লাহিল ইসলাম।” মহান করুণার আধার আল্লাহ্ জাল্লা শানুহুর নিকট মনোনীত দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থা হচ্ছে ইসলাম।” আরবি ইসলাম শব্দটি ‘সাল মুন’ ধাতু হতে নির্গত, যার অর্থ হলো শান্তি, নিরাপত্তা প্রভৃতি। এ ইসলামের মৌলিক নীতিগুলোর প্রধান হচ্ছে ঈমান। ঈমান বা বিশ্বাসের মাধ্যমেই মানস জগতের গতি শক্তি স্ফূরিত হয়।
আন্তরিক বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি ও কার্যে বাস্তব রূপায়ণ – ঈমানের এ তিনটি অপরিহার্য রূপ ছাড়া পূর্ণ ঈমানের বাস্তবায়ন কোন কালেই সম্ভব নয়। একথা বাস্তব সত্য যে,ইসলামের প্রতিটি নিয়ম-নীতি অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে পারলে জীবনের কোন পদেই বাধা আসবে না, বরং ইহকাল ও পরকালে সুখ-সমৃদ্ধি অর্জন করা যাবে। কেননা ইসলাম হচ্ছে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ কীভাবে জীবন পরিচালনা করবে তা ইসলামে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রথম নবী ও মানব সত্যের দিশারী হযরত আদম (আঃ) হতে শুরু করে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন যুগে-যুগে,দেশে-দেশে এ পবিত্র ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্যে অসংখ্য নবী ও রাসুল প্রেরণ করেছন এবং সবশেষে বিশ্ব মানব জাতির কল্যাণ সাধনের জন্যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া-সাল্লামকে প্রেরণ করেছন। তিনি ইসলাম ধর্মের অমিয় বাণী সমূহ সারা বিশ্ববাসীর কাছে পোঁছাতে গিয়ে বহু বাধা-বিঘ্নের সম্মুখীন হয়েছেন,কিন্তু সমস্ত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে মহান আল্লাহর একত্ববাদ ও পবিত্র ইসলামের প্রচারকার্য চালিয়ে গিয়েছেন।