পাবনার ভাঙ্গুড়ায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করার ৫ দিন পর শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করেছে থানা পুলিশ। ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নৌবাড়িয়া গ্রামে একটি ধানের চাতালে।
জানা যায়, উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের রুপসী গ্রামের মোঃ আব্দুর রহিমের ছেলে শাহিন হোসেনের (২২) সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই কলেজ ছাত্রীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শনিবার (২০ আগষ্ট) সকালে প্রেমিক শাহিন তার প্রেমিকা কলেজ ছাত্রী (১৭) কে বেড়ানোর কথা বলে নৌবাড়িয়া ব্রীজের পাশে আমির হাজির ধানের চাতালের একটি নির্জন কক্ষে নিয়ে যায়। এ সময় কলেজ ছাত্রী নির্জন কক্ষে যেতে আপত্তি জানালে লম্পট শাহিন তাকে বাধ্য করে। এলাকাবাসি বিষয়টি টের পেয়ে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। এসময় অভিযুক্ত শাহিন এলাকাবাসির পা-জড়িয়ে ধরে নিজের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
তখন ওই চাতালের একজন শ্রমিক মোঃ বাদশা মিয়া বলেন, শাহিন আমার শ্যালোক তার সাথে যে মেয়েকে আপনারা ধরেছেন সে শাহিনের বৌউ। তাই আমি তাদের জায়গা দিয়েছি। খবর পেয়ে ঘটনা স্থানে উপস্থিত হয় মিল মালিকের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম তিনি এলাকাবাসিকে ম্যানেজ করে শাহিনকে ছেড়ে দেন এবং কলেজ ছাত্রীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
কলেজ ছাত্রী বাড়ি ফিরে তার মাকে ঘটনা খুলে বলেন এবং রাতে বাবা বাড়ি এসে ঘটনা শুনে তিনি ওই রাতেই ভাঙ্গুড়া থানায় মামলা দায়ের করার জন্য যান কিন্তু থানায় কম্পিউটার অপরেটর না থাকায় ওসি পরের দিন সকালে আসতে বলেন। কলেজ ছাত্রীর বাবা পরের দিন সোমবার সকালে থানায় গেলে পুলিশ একটি অভিযোগ লিখে তার কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয়। থানায় লিখিত অভিযোগের ৫ দিন পর (২৫ আগষ্ট) বৃহস্পতিবার শ্লীলতাহানি একটি মামলা রুজু হয়েছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মুঃ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর সংশোধনী ২০০৩ সালের ১০ ধারায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে,(মামলা নং ১৫)। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।
#CBALO / আপন ইসলাম