জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ফুকোচা উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেত্রাঘাতে গুরুতর আহত মল্লিকা মিনু (১৬) নামের এক ছাত্রীকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২৪ আগস্ট দুপুরে জেলার মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের ফুলকোচা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ইংরেজি বিষয় পাঠদানকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে বিক্ষুব্ধ অভিভাবক বেত্রাঘাতকারী ওই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিদ্যালয়টির দশম শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম চতুর্থ ঘণ্টায় দশম শ্রেণির ইংরেজি বিষয়ের পাঠদান শুরু করার আগে পড়া শিখে আসে নাই তা জানতে চান। অন্তত ৩০-৩৫ জন শিক্ষার্থী পড়া শিখে আসে নাই বলে দাঁড়ায়। এ সময় শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ক্ষীপ্ত হয়ে প্রথমে সাত আট জন শিক্ষার্থীকে কাছে ডেকে নিয়ে বেত দিয়ে পেটান। এরপর নিজেই বেঞ্চের কাছে গিয়ে এক এক করে অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থীকে ইচ্ছেমতো পেটান। তারা সবাই কমবেশি আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে মল্লিকা মিনু নামের এক শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৫টি মারাত্মক ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। তার শরীরে জ্বরও এসেছে। পরে তার বাবা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক গোলাম মোস্তফা গুরুতর আহত মল্লিকাকে ২৪ আগস্ট বিকেলে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে সে হাসপাতালের মহিলা সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বেত্রাঘাতে গুরুতর আহত শিক্ষার্থী মল্লিকা মিনু
এদিকে নিজের মেয়েসহ মেয়ের সহপাঠীদের বেত দিয়ে পেটানোর ঘটনার বিচার দাবি করেছেন মল্লিকার বাবা গোলাম মোস্তফা। বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, পড়া না শিখে আসার কারণ দেখিয়ে দশম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাসে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম। শিক্ষক শফিকুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত করেছেন। কাজটি ঠিক করেননি তিনি। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের কয়েকজন অভিভাবক বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষক শফিকুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করেছেন। ফলে এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সার্বিক ঘটনা আমি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামানকে জানিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা নিতে চেয়েছেন।
বেত্রাঘাতকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নাই।