যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বুইকরা ড্রাইভারপাড়া এলাকার মৃত- মিকাইল বিশ্বাসের ছেলে মামলাবাজ মশিয়ার রহমান বিশ্বাস(৬০) এর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মানুষের নামে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করাই তার কাজ এবং সুযোগ বুঝে মামলা মিমাংসার অজুহাতে টাকা হাতিয়ে নেয়। অনেকের সাথে কথা বলে যানা যায়, গত ২০০২ সালে স্থানীয় হায়দার শেখ এর ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে ঐ মামলাবাজ মশিয়ার, যে মামলা স্থানীয় ভাবে মিমাংসার কথা বলে দুই লাখ টাকা গ্রহন করেও মামলা মিমাংসা করেনি। ঐ মামলায় আসামি হাসান দীর্ঘদিন জেলে থেকে জামিনে বাড়ি আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৩ জুলাই বিকেলে স্থানীয় ইসরাইল মোল্লা গংদের মারপিট করে ঐ মামলাবাজ মশিয়ার ও তার সহযোগীরা। ঐ দিনে ইসরাইল মোল্লাসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মামলাবাজ মশিয়ার অভয়নগর থানায় উল্টো ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করছে। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে ভুক্তভোগী কাজী আজিজুর রহমানের স্ত্রী রিনু বেগম বাদি হয়ে মামলাবাজ মশিয়ার রহমানসহ ৫ জনকে আসামি করে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা করে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি গ্রহন করে অভয়নগর থানা ওসি কে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ প্রদান করে। মামলার খবর ঐ মামলাবাজ মশিয়ার রহমান জানার পরে ভুক্তভোগী পরিবারের সব সদস্যকে হত্যা, খুনসহ নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। স্থানীয় অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ঐ মামলাবাজ মশিয়ার রহমানসহ তার ভাইরা এলাকার মানুষকে ঠিকভাবে বসবাস করতে দেয়না। অহেতুক মানুষের সাথে ঝামেলা বাঁধিয়ে মারপিট করতে তেড়ে আসে আর ঐ মামলাবাজ মশিয়ার রহমানসহ তার পরিবারবর্গের বাড়ি বাঘারপাড়া উপজেলায়, সেই কারণে এমপি রনজিত রায়ের নাম ভাঙ্গিয়ে ভয় দেখায় মানুষদের। যে কারনে মানুষ ভয়ে কিছু বলেনা। এবিষয়ে মাননীয় সংসদ সদস্য রনজিত রায় বলেন, আমার এলাকায় বাড়ি বলে যে আমি তাকে চিনি জানি এটা ঠিক নয়, তা ছাড়া মশিয়ার রহমান নামে কাউকে আমি চিনিনা। সচেতন মহল দ্রুত মামলাবাজ মশিয়ার রহমান সহ তার সহযোগীদের তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে দাবি করেছেন। আদালতের মামলার বিষয়ে অভয়নগর থানার এসআই হিরোজিৎ রায় বলেন, আদালতের নির্দেশনা পেয়ে মামলা এজাহার হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিরা সব পলাতক থাকায় আটক করা সম্ভব হয়নি, তবে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।