জাতীয় শোকের সাথে নিজেকে চিরস্মরণীয় করে রাখল বড্ড অভিমানী পরিবারের বড় সন্তান সকলের আদরের নয়ন মনি আমার প্রিয় বড় ভাই ডাঃ আইয়ুব আলী।
সুন্দর এই ভুবনের সকল সৌন্দর্য প্রিয়জনদের আদর, ভালোবাসা, মায়া, মমতা সব কিছুকে বিসর্জন দিয়ে তুমি অভিমান করে অকালে চলে গেলে পরকালে। এই পৃথিবীর কোন মোহই তোমাকে রোধ করতে পারেনি।এই ব্যর্থতা আমাদের। আমরা কিছুই করতে পারলাম না। আজ কেন জানি নিজেকে অপরাধী মনে হচ্ছে। তোমাকে কোনদিন বুঝতে পারলাম না, অনুভব করতে পারলাম না, তোমার ভেতরের চাপা দুঃখ কষ্ট বেদনা। নিষ্ঠুর এই পৃথিবীতে আমরা শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। বাহ্যিক দৃষ্টিতে আমরা যা দেখেছি এই পৃথিবীতে স্বর্গ রচনা করার জন্য যেসব উপকরণ দরকার সবই তো তোমার ছিল শুধু ভিতরে তোমার মত করে না পাওয়ার যন্ত্রনা, হাহাকারে তপ্ত রোদে ফেটে যাওয়া হৃদয় আমরা বুঝতে পারিনি। তাই তুমি এই অপরাধে প্রিয়জনদের আজীবন শাস্তি স্বরূপ তিলে তিলে নিষ্পেষিত করতেই তুমি সিদ্ধান্ত নিলে সবার কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়া।তুমি হয়তো কিছু সময় মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করে পরপারে চলে গেছো কিন্তু প্রীয়জন যারা বেঁচে আছে তোমার স্মৃতি বহন করবে আমরন দুর্বিসহ যন্ত্রনা নিয়ে। প্রিয়জন হারানোর ব্যথা কতটা দুঃখের, কতটা কষ্টের যে হারায় সেই বোঝে, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দুচোখের সুনামিতে সেই দুঃখ কষ্ট শেষ হয় না। হয়তো কষ্টের কিছুটা কম বেশি হয় বাস্তবতার চাপে, কিন্তু যখন মনে হয় তখন সোনামির চেয়েও বেশি প্লাবিত হয় দুচোখ সেই প্লাবনে ভেসে যায়।মনের ভিতর দুর্বিষহ বেদনার ঝড় মুহূর্তেই সবকিছু লন্ডভন্ড করে যায়। খর কুটার মত উড়তে থাকে অবশিষ্ট সুখগুলো।বিষাদিত করে দেয় সময়, জীবন,বাঁধভাঙ্গা কান্নায় ভাসিয়ে নয়ন। কিছুতেই যেন কান্না আটকানো যায় না। এভাবে স্মৃতিকে বহন করে চলতে হবে আজীবন।মৃত্যু হবে এটাই স্বাভাবিক,শাশ্বত সত্য কিন্তু এই অস্বাভাবিক মৃত্যু আমরা কামনা করিনা।আমি এসব মৃত্যুকে এককভাবে দায়ী করিনা, আমরা যারা কাছের মানুষ, সমাজ, রাষ্ট্র, প্রত্যেককেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী। পরিশেষে আমি মহান আল্লাহতালার কাছে তার ভুলত্রুটি ক্ষমা চেয়ে প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! তুমি তাকে মাফ করে বেহেশত নসিব করুন। আমিন।
স্মৃতি সংরক্ষণে কিছু ছবি পোস্ট করলাম ক্ষমা মার্জনীয়।