রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
কক্সবাজার সদর উপজেলা জাসাস এর পরিচিতি সভা, জাসাস বিএনপি গোলাপ ফুল বললেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের নির্বাহী মহাসচিব নির্বাচিত হলেন আনোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ ১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউন নাটোর ইমার্জিং কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন নাটোর রেড টিম আটোয়ারীতে ‘মানিকপীর সোনালী কিন্ডার গার্টেন’-এর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি ও সনদ বিতরণ আলীকদমে মাতামুুহুরী নদীতে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু ভৈরব নদীতে নৌকা বাইচে উৎসবের জোয়ার, দর্শনার্থীর ঢল সাপাহারে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স জনবীমী’র পিঠা ও আনন্দ উৎসব 

অভয়নগরে সরকারি বই লোপাটের ঘটনায় নাটকিয়তা অব্যাহত; বদলে গেছে শিক্ষা কর্মকর্তার বক্তব্য

মোঃ কামাল হোসেন, অভয়নগর প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ৪ আগস্ট, ২০২২, ১০:৩৪ অপরাহ্ণ

গুদামের চাবি যার হাতে তাকেই করা হয়েছে তদন্ত কমিটির সদস্য! যশোরের অভয়নগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের গুদাম থেকে বই লোপাটের ঘটনায় জড়িত বহুলালোচিত সেই খালিদকে বাঁচাতে খোদ শিক্ষা কর্মকর্তাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যে কারনে বই লোপাটের ঘটনা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের নামে নাটকিয়তা অব্যাহত রয়েছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে গুদামের চাবি যার হাতে তাকেই তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এদিকে ঘটনার পর থেকে শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম একভাবে বক্তব্য দিয়ে আসলেও গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে তার বক্তব্য পাল্টে গেছে। তিনি গতকাল এ প্রতিবেদকের সামনে দাবি করেছেন তার অফিস বা গুদাম থেকে কোন বই বের হয়নি। যদিও ইতিপূর্বে তিনি গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছিলেন তার গুদাম থেকে বই বের হতে পারে। তাছাড়া তার গুদামের স্টক মেলানো সম্ভব নয়। এ প্রসংগে তিনি দাবি করেছিলেন, বিভিন্ন লোকের অনুরোধে বিভিন্ন সময় দুই দশ সেট বই দিতে হয় যে কারনে স্টক মেলানো সম্ভব হয়না। এদিকে শিক্ষা কর্মকর্তার এ দাবির পর সংগত কারনেই সচেতন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, শিক্ষা অফিসের গুদাম থেকে বই লোপাট যদি না হয় তাহলে অফিস সহকারি খালিদকে কেন শোকজ করা হয়েছে? এবং কেনই বা তদন্ত কমিটির নামে এসকল নাটকিয়তা চলছে? এছাড়া শিক্ষা কর্মকর্তার এ দারি পর স্থানীয় মহলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, ঘটনার দিন নওয়াপাড়া বাজারের যশোর-খুলনা মহাসড়কে প্রকাশ্য দিবালোকে শতশত মানুষের সামনে বই চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়া বাবুল খান জানিয়েছিলেন শিক্ষা অফিসের খালিদ তাকে এ বাই গুলো দিয়েছিলেন। এছাড়া ঘটনার দিন উপস্থিত শতশত লোক বাবুল খানের মেবাইল চেক করে ঘটনার আধঘন্টা আগে থেকে ডায়াল ও রিসিভ কলে ৫বার খালিদের সাথে বাবুল খানের কথোপকথোনের চিত্র দেখতে পেয়েছিলেন। ফলে বিষয়টি নিয়ে নানামুখি সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে। এদিকে তদন্ত কমিটি গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তবে তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে মুখ খুলতে রাজি হননি শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম। তিনি দাবি করেছেন, তদন্ত প্রতিবেদনে কিছু অস্পূর্ণতা রয়েছে। বই সরবরাহকারী বাবুল খান উপস্থিত না হওয়ায় তদন্তের মেয়াদ বৃদ্ধি করে তাকে হাজির করার চেষ্টা চলছে। অপরদিকে অভয়নগর উপজেলা শিক্ষা অফিসের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি নিয়েও দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম দাবি করেছেন অফিস সহকারি খালিদের কাছে গুদামের চাবি থাকে না। গুদামের চাবি থাকে সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আশিকুজ্জামানের কাছে। অথচ সেই আশিকুজ্জামানকেই করা হয়েছে তদন্ত কমিটির সদস্য। ফলে তদন্ত কমিটির সুষ্ঠু তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন মহল। এদিকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করলেও পরবর্তী ব্যাবস্থা সম্পর্কে জানতে তার ব্যবহৃত নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর