পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বড়াল নদী দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগে নির্মাণ সামগ্রী জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান উপজেলার চৌবাড়িয়া হারোপাড়ায় বড়াল নদী দখল করে নির্মিত বহুতল ভবনে হাজির হয়ে দেওয়াল ভেঙ্গে দেন ও সেখান থেকে ইট, বালি, খোয়া ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী জব্দ করার আদেশ দেন।
জানা গেছে, পৌরসভার হারোপাড়া মহল্লার বাসিন্দা রঞ্জু মোল্লা নামের এক ব্যক্তি বড়াল নদী দখল করে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করছিলেন। নির্মাণের শুরু থেকেই উপজেলা প্রশাসন ভবনের মালিক রঞ্জু মোল্লাকে একাধিকবার মৌখিক ও লিখিত নির্দেশনা প্রদান করে নদী দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ না করার অনুরোধ করে আসছিলেন। এর পর রঞ্জু মোল্লা নিজেও মুচলেকা দিয়ে ছিলেন যে, তিনি নদী দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ আর করবেন না। কিন্তু সকল নির্দেশনা অমান্য করে তিনি আবারো ওই ভবন নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন এমন খবর পেয়ে গত রবিবার (৩১ জুলাই) উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান ভবনের দেওয়াল ভাঙ্গার এবং সেখান থেকে ইট, বালি, খোয়া ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী জব্দ করার আদেশ দেন। তবে ঘটনার সময় ভবনের মালিক বা শ্রমিক কাউকে পাওয়া যায় নি। নদীর অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে এমন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করায় স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ অনেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, নদী দখল করে স্থাপনা নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই। নদী অবৈধ দখল মুক্ত রাখতে উপজেলা প্রশাসন সচেতন রয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকায় “নদী দখল করে ভবন নির্মাণ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে নদী দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেন উপজেলা প্রশাসন।
#CBALO / আপন ইসলাম