বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

আটঘরিয়ায় ৮০৯০ হেক্টর জমিতে  আমন আবাদ চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষকেরা

মাসুদ রানা, আটঘরিয়া(পাবনা)প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০২২, ৫:২৫ অপরাহ্ণ

পাবনার আটঘরিয়ায় চলতি বছরে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮০৯০ হেক্টর। তবে বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন  কৃষকেরা। ধানের জাত গুলো হলো ব্রি-৭১, ব্রি-৭৫, ব্রি-৩৯, ব্রি-৪৯, ব্রি-৮৭, বিনা ধান-৭, বিনা ধান-১৭ ধানী গোল্ড জাতের  ধান আবাদ করা হচ্ছে।
 আষাঢ় মাসে ঠিক তেমন একটা বৃষ্টির দেখা মেলেনি। প্রচণ্ড খরা পার করে শ্রাবণের মাঝামাঝি সময়ে আবহাওয়া কিছুটা অনুকুলে আসে।
কয়েকদিন বৃষ্টির পানি পেয়েই খরিপ-২ মৌসুমে রোপা আমনের বিভিন্ন জাতের ধান গাছের চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন আটঘরিয়ার কৃষকরা।
রবিবার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে কৃষকদের কর্মচাঞ্চল্যের এমন চিত্র।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দিনের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই অনেক কৃষক মহিষ ও হ্যারো দিয়ে জমি চাষ করা শুরু করেছেন। কেউ জমি প্রস্তুত করতে, কেউ বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলতে আবার কেউ ভাটিয়ালি গানের সুরে সুরে জমিতে চারা রোপণ করতে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা চুক্তি ভিত্তিতে এসেও কাজ করছেন। বিঘা প্রতি জমিতে ধানের চারা বপণের কাজে তাদের মজুরি মেলে এক হাজার ৭০০-৮০০ টাকা। এভাবে এক একটি গ্রুপে ১০-১৫ জন করে শ্রমিক একসঙ্গে কামলা দিয়ে থাকেন।
চাঁদভা ইউনিয়নের গ্রামের বাসিন্দা  আফাজ জানান, আমাদের গোটা গ্রাম গভির নলকুপের পানি জমিতে দেওয়া হ্চ্ছে।
প্রতি বছরের আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে আমরা দল বেঁধে ধান লাগাই। সারাদিনে চার থেকে ছয় বিঘা জমিতে ধান বপন করা সম্ভব হয়। জমি থেকে ধানের চারা তুলে বপন করে বিঘা প্রতি মজুরি পাই এক হাজার ৮০০টাকা।
 মাজপাড়া এলাকার কৃষক বরিউর জানান, আষাঢ় মাসে বর্ষায় রোপা আমনের চারা রোপণ করার সময়। এ বছর আষাঢ়ে বৃষ্টি অনেক কম হয়েছে। শ্রাবণ মাসের শুরুতে রোপা আমনের চারা বপনের উপযুক্ত সময়।
আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব আল মারুফ জানান, আটঘরিয়া পৌর এলাকাসহ উপজেলার পাঁচ
টি ইউনিয়নে চলতি বছর রোপা আমন জাতের ধান আবাদ হচ্ছে।
 আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে আট হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে। শ্রাবণের শুরুতে এ জাতের ধান রোপণের মৌসুম।
তিনি আরও জানান, উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে জমি চাষের উপযোগী করতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এখানে রোপা আমনের ব্রি-ধান জাতের আবাদ করেন এ এলাকার কৃষকরা। বড় ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা ধান গাছের রোগবালাই কম হলে এবারে বাম্পার ফলন ঘরে তুলবেন কৃষকরা।
 তিনি আরও জানান, পৌর এবং উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনা  সহ বিভিন্ন কর্মসুচিতে ১২০০প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে রোপা আমন ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তাদের দেওয়া ধানের জাতগুলো হচ্ছে- আমন ব্রি-ধাণ-৭১,৭৫,৩৯,৪৯,৮৭, ৭,১৭। এসব আধুনিক আমন ধান চাষ করে সেচ ছাড়া ও কম সার ব্যবহার করে বাম্পার ফলন পাওয়া সম্ভব।
 এছাড়া কৃষকদের পরামর্শ দিতে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। আর সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারলে বিঘা প্রতি ৩০-৩৫ মন পর্যন্ত ধানের ফলন পাওয়া সম্ভব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর