“বাবা তুমি চিরতরে চলে গেছো
রেখে গেছো কত শত স্মৃতি,
আদর্শবান একজন মানুষ ছিলে
মনে লালন করতে সুনীতি।
তোমায় দেখে অসত্য কাঁপতো
অসাধু থাকতো ভয়ে অনেক দূরে,
তোমার মত আদর্শবান একজনও
পাইনা মোদের সারা এলাকা জুড়ে ।
কত মারামারি, খুন ধর্ষণের
সুবিচার করেছ তুমি,
স্বামী স্ত্রীর বিচ্ছেদ মিটিয়েছো
দান করেছো নিজস্ব ভূমি।
অশান্তিময় সমাজ ব্যবস্থায়
শান্তির আলো দিয়ে জ্বেলে,
সাধারণ মানুষকে এতিম করে
পরপারে গেছো চলে।
মুখে মুখে তোমার কথা
সাধারণ মানুষ বলে,
বর্তমান অসাধারণেরা দাপটে বেড়ায়
সাধারণ মানুষের অধিকার পায়ে দলে।
সমাজে নাই আর ন্যায় বিচার
খারাপ কাজে নেই সামাজিক বাধা,
সুদখোর- ঘুষখোর, চরিত্রহীন মোড়ল
মূল্যহীন পরে আছে মানুষ যারা সাদা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আলোকবর্তিকা
সদা নিরলস প্রচেষ্টা ছিলো তোমার,
তোমার ছোঁয়ায় আদর্শ মানুষ এখন
সেবা করছে দেশ মাতৃকা’র।
আদর্শ শিক্ষকের নমুনা তুমি
ছিলে মানুষ গড়ার কারিগর,
বর্তমান সমাজের অন্ধকার দূরীকরণে
তোমার অভাব অনুভব করছি বারংবার।
অন্যায়কারী মোরা এখন স্বাধীন হয়েছি
সমাজে নেই কেউ আর দেখার,
লোক ঠকিয়ে অর্থ কামাই করে
ভালোই চলছে আমাদের হিংসা ও অহংকার।
ন্যায়ের আদর্শ থেকে বিচ্যুত মোরা
পরশ্রীকাতরতা মোদের স্বভাব,
এভাবে চললে সমাজ যাবে রসাতলে
শান্তি শৃঙ্খলার হবে বড় অভাব।
অবহেলিত এলাকার প্রতিনিধিত্ব করতে
অনেক ত্যাগ করেছিলে স্বীকার,
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট- হাটবাজার
প্রতিষ্ঠা করেছিলে যা যা দরকার।
জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ে
ছিলে তুমি সদা তৎপর,
বিভিন্ন শ্রেণী পেশার কর্তা ব্যক্তি
তোমার ভাষা শুনে রেখেছেন আবদার।
সিরাজগঞ্জ জেলায় জন্ম তোমার
মনছের মোল্যা গোলেছান বিবির ঘরে,
মোরা উত্তরসূরী রাখতে চাই
শত শত বছর তোমার স্মৃতি ধরে ।
২০১৬ সালের ২৯ জুলাই শুক্রবারে
সুস্থ স্বজ্ঞানে সবই বলে কয়ে গেলে,
এসটিআইতে প্রথম জানাজা দেবে
দ্বিতীয় জানাজা পয়লা হাই স্কুলে।
প্রথম জানাজার ইমাম হবে আঃ সাত্তার
দ্বিতীয় জানাজার রওশন আলম হায়দারী,
সকল নির্দেশনা একেক করে বললে
কালেমা পড়তে পড়তে গেলে দুনিয়া ছাড়ি।
মরহুম ময়নাল হক সরকারের গোরস্থানে
মা- ছোট ভাই ও ছেলের কবরের মাঝে,
সকল সময় বিরাজ করো মোদের মনে
সুখ ও দুঃখে সকাল সন্ধ্যা সাঁঝে ।
প্রতি ইংরেজি বছরের ২৯ জুলাইতে
করি তোমার ভালো কাজের স্মৃতি চারণ,
স্মৃতি পাঠাগারটি তোমার আদর্শের ঠিকানা
যাতে সুপরিবর্তন হয় মোদের আচরণ।।