পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মাদ্রাসায় গিয়ে ছাত্রীদের উত্যক্ত করায় ভ্রাম্যমান আদালতে দুই যুবককে জরিমানা করেছে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান। সোমবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে উপজেলার দিয়ারপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে এই জরিমানা করা হয়। ছাত্রীদের উত্যক্তকারী ঐ দুই যুবক উপজেলার রাঙ্গালিয়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২২) ও হাসেন মোল্লার ছেলে মুরাদ আলী (২০)। উল্লেখ্য তারা দুজনেই বিবাহিত।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার আরিফুল ও মুরাদ দিয়ারপাড়া দাখিল মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার কথা বলে প্রবেশ করে। এরপর মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাদের বছরের মাঝামাঝি সময়ে ভর্তি হওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেয়। পরে ঐ দুই যুবক চলে যাওয়ার সময় একটি শ্রেণী কক্ষের জানালা দিয়ে অশ্লীল বক্তব্য ও মোবাইল নম্বর লিখে ছুড়ে দেয়। শ্রেণীর ছাত্রীরা সাথে সাথে বিষয়টি মাদ্রাসা সুপারকে জানালে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাদের ধাওয়া দিয়ে এক জনকে আটক করে উপজেলা প্রশাসনকে খরব দেয়। এসময় অপরজন পালিয়ে যায়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান সেখানে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশসহ উপস্থিত হন। এরপর আটক যুবকের সাহায্যে অপরজনকে ডেকে নিয়ে আসা হয়। যুবকেরা তাদের অপরাধ স্বীকার করলে তাৎ¶ণিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে দুইজনকে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ৫০৯ ধারা মোতাবেক ৫০০০ টাকা করে দুটি মামলায় মোট দশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় তিনি উপস্থিত লোকদের কাছে বাল্য বিবাহ, নারী উত্যক্ত বা যে কোনো ধরনের বিশৃক্সখলা সৃষ্টিকারীদের বিষয়ে উপজেলা প্রাশসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, নারী উত্যক্তের বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আটক যুবকদের অপরাধ স্বীকার সাপেক্ষে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়েছে। নারী উত্যক্ত বা যে কোন ধরনের সামাজিক শৃক্সখলা রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।
#CBALO / আপন ইসলাম