রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন

ই-পেপার

শিরোনাম :
শিরোনাম :
কক্সবাজার সদর উপজেলা জাসাস এর পরিচিতি সভা, জাসাস বিএনপি গোলাপ ফুল বললেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের নির্বাহী মহাসচিব নির্বাচিত হলেন আনোয়ার হোসেন মানিকগঞ্জ ১ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোডাউন নাটোর ইমার্জিং কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন নাটোর রেড টিম আটোয়ারীতে ‘মানিকপীর সোনালী কিন্ডার গার্টেন’-এর কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি ও সনদ বিতরণ আলীকদমে মাতামুুহুরী নদীতে পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু ভৈরব নদীতে নৌকা বাইচে উৎসবের জোয়ার, দর্শনার্থীর ঢল সাপাহারে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্স জনবীমী’র পিঠা ও আনন্দ উৎসব 

শশুর বাড়ি থেকে ছেলে গুম হয়ে যাওয়ায় মামলা করলেন মা

মোঃ কামাল হোসেন, অভয়নগর প্রতিনিধি:
আপডেট সময়: শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০২২, ১২:৪১ অপরাহ্ণ

যশোরের অভয়নগর উপজেলার মাগুরা শশুর বাড়ি থেকে দীর্ঘ ০২বছর আগে গুম হয়ে যাওয়া ছেলের দাবি করে বিজ্ঞ আদালতে ছেলের বউসহ ঘটনার সাথে জড়িত তিনজনের নাম উল্লেখ করে গুম খুনের মামলা করেছেন। যশোর পৌর ৭ নং ওয়ার্ড বকচর টিবি ক্লিনিক পাড়া এলাকার মৃত অলিয়ার ফকিরের স্ত্রী আয়শা বেগম, যার মামলা নং ১২৮৫/২২।  মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জুন ২০২০ইং বাদির ছেলে নূর নবী সোহেল তার  আসামি স্ত্রী’কে সাথে নিয়ে  শশুর বাড়ি অভয়নগর উপজেলার মাগুরা পূর্বপাড়া গ্রামে বেড়াতে যায়। ঘটনার দিন গত ৭জুন ২০২০ইং তারিখে হঠাৎ আসামি রাত ৩টার সময় বাদিনীকে ফোনে জানায় তার ছেলেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে কে বা কারা ধরে নিয়ে গেছে। বাদি তার আরজিতে উল্লেখ করেন, আমার ছেলেকে আসামি রোমেচাসহ অন্য আসামিদের যোগসাজশে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলেছে এবং ঘটনা ধামাচাপা দিতে নাটক সাজিয়েছে। মামলার আরজিতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, ঘটনার দিনে আসামি রোমেচার সাথে ভিকটিম নূর নবী সোহেলের তুমুল ঝগড়া বিবাদ হয়। যে কারনে আরজিতে উল্লেখিত আসামি সহ অজ্ঞাত ১২/১৫ জন তার ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলেছে। মামলার আসামিরা হলেন, অভয়নগর উপজেলার মাগুরা পূর্বপাড়া গ্রামের হাসান আলীর মেয়ে রোমেচা বেগম(২৬), একই এলাকার মৃত- ইসমাঈলের ছেলে ইরশাদ মোল্লা(৩৫), মৃত- আনছার মোল্লার ছেলে আকরাম মোল্লা(৪০), ও মৃত- ছাত্তার মোল্লার ছেলে হাফেজ মোল্লা(৪২)। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো পিবিআই যশোরকে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আদেশ দিয়েছেন।
এবিষয়ে মামলার সত্যতা যাচাই করার জন্য আসামিদের বাড়িতে গেলে আসামী রমেচা বেগমের পিতা হাসান বলেন, ঘটনার দিনে ৬/৭ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি আমার মেয়ে জামাই কে চোখ বেঁধে ও হাতে হ্যান্ডকাপ দিয়ে তুলে নিয়ে যায়, আমরা পরিচয় জানতে চাইলে তারা খুলনা ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়, এছাড়া অন্য কিছু জানিনা। তাকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি থানায় কেন জিডি করেননি? সে বলে অনেক বার থানায় গিয়েছি পুলিশ কোন অভিযোগ বা জিডি গ্রহন করেনি। গ্রামের অনেকে বলেন,  নূর নবী সোহেলকে কে বা কারা ধরে নিয়ে গেছে, আমরা শুনেছি।
মামলার বাদিনী আয়েশা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, দীর্ঘ দিন আমার ছেলেকে খুঁজে কোথাও পাইনি, আমার ছেলে মৃত- অথবা জীবিত ফেরত চাই। দীর্ঘ দুই বছর পর মামলা করলেন, আগে কেন করেননি এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি থানাসহ সব স্থানে গিয়েছি কেউ আমার আবেদন গ্রহন করেনি। আর যে সময় আমার ছেলে গুম হয় তখন করোনার জন্য আদালত বন্ধ থাকায় আমার মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর