মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:২৪ অপরাহ্ন

ই-পেপার

ভাঙ্গুড়ায় ঘুষের টাকা না দেয়ায় শিক্ষককে পিটিয়ে জখম

চলনবিলের আলো ডেস্ক:
আপডেট সময়: রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২, ৫:২৪ অপরাহ্ণ

ঘুষের টাকা না দেওয়ায় দহ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (৫৬) কে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছেন ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান (৪২)। রবিবার (১৯ জুন) সকালে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়েনের দহ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিদ্যালয় এলাকা জুড়ে ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবকদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, টাইমস্কেলের রেজুলেশনের জন্য দহ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এগারো জন শিক্ষক কর্মচারী আবেদন করেন। সেই আবেদন ফরমে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনপ্রতি দুই হাজার টাকা করে ঘুষ দাবি করেন। গত দুই মাস পূর্বে আবেদন গুলো প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দিলেও অদ্যবদি তিনি স্বাক্ষর করছেন না কেন রবিবার সকালে এমন প্রশ্ন বিএসসি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম করলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন দুই হাজার টাকা করে চেয়েছিলাম কেউ দেয়নি তাই স্বাক্ষর করিনি। এখন যদি পনেরশো টাকা করে সবাই দেয় তাহলে স্বাক্ষর করে দেব। তখন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন আমরা কোন ঘুষ দিতে পারবো না। টাইমস্কেল আমাদের অধিকার। এমত অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উত্তেজিত হয়ে কাঠের চেয়ার দিয়ে শিক্ষক রফিকুল ইসলামের মাথায় আঘাত করলে তিনি রক্তাক্ত জখম হয়। পরে অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্ররা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষাক নিয়মিত মাদক সেবন করেন। তাই তিনি মাঝে মাঝেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরন করেন। প্রধান শিক্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা সবাই কিছু বলতে পারি না।

খোজ নিয়ে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান ২০১৯ সালের ফ্রেরুয়ারিতে দহ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ অবৈধ দাবি করে সে সময় বিদ্যালয় কমিটি থেকে তার বিরুদ্ধে একটা মামলা করে যা এখন পর্যন্ত চলমান আছে। এর আগে তিনি উল্লাপাড়া উপজেলার দক্ষিণ ফচলিগাছা গার্লস হাইস্কুলে আই সি টি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মূলত বিদ্যালয়ের কেহ আমাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে মেনে নিতে চাচ্ছে না তাই সবাই মিলে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। শিক্ষক রফিকুল ইসলাম প্রথমে আমাকে আঘাত করে আমি শুধু সেটা প্রতিহত করি।

এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি অফিসের কাজে বাহিরে আছি। ফোনে বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

 

#CBALO / আপন ইসলাম


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর