চিরকুট লিখে নিখোঁজের একদিন পর দর্জির নিথর দেহ মিলেছে আটঘরিয়ার মাজপাড়া এলাকায় একটি সেতুর নিচে ভাসমান অবস্থায়। তিনি হলেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার সেঞ্চুরি টেইলার্সের মালিক জিয়াউর রহমান (৪৫)।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে স্থানীয় লোকজন ভাসমান মরদেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ভাঙ্গুড়া বাজারের দোকান থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন জিয়াউর। ভাঙ্গুড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সারুটিয়া ওয়াবদা মহল্লার বাসিন্দা তিনি। দুই সন্তানের বাবা। গতকাল দুপুরে খাবার নিয়ে দোকানে যায় তার ছোট ছেলে ইজাজ হোসেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারে তার বাবা কাউকে কিছু না বলে দোকান থেকে বেরিয়ে গেছেন। পরে দোকানের টেবিলে পাওয়া যায় একটি ছোট্ট চিরকুট। তাতে লেখা ছিল ‘দোকান-সংসার চালাইতে পারলাম না, তাই দুনিয়া ত্যাগ করিলাম। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’
এরপর রাতে পরিবার ভাঙ্গুড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। আজ সকালে পরিবার জানতে পারে, ঈশ্বরদী–ঢাকা রেলপথের আটঘরিয়ার রোকনপুর ৯ নম্বর রেলব্রিজ এলাকায় ট্রেনে কাটা এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে জিআরপি পুলিশ। সেখানে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে জিয়াউর রহমানের পরিচয় শনাক্ত করে।
ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া চিরকুটসহ সব আলামত থানায় রাখা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
দর্জি জিয়াউর রহমানের আকস্মিক মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।