নাটোরের বড়াইগ্রামে শিশুদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীর বাবাকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে।গত রোববার উপজেলার চামটা বাগবাচ্চা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার শিক্ষার্থী মিলন কুমার দাস বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আহত ব্যাক্তির নাম শ্রী মনি চন্দ্র দাস (৫০)। তিনি উপজেলার চামটা বাগবাচ্চা গ্রামের বাসিন্দা। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শ্রী মনি চন্দ্র দাস ও মৃত নিশি কান্ত রায়ের ছেলে শুম্ভু রায় (৫০) প্রতিবেশী। রোববার বিকেলে কয়েকজন শিশু চামটা দূর্গা মন্দিরের সামনের ফাঁকা জায়গায় ফুটবল খেলছিলো। খেলার এক পর্যায়ে বল এসে শুম্ভু রায়ের সুপারির খোল দিয়ে ঘিরে রাখা বেড়াতে লাগে। শুম্ভু রায় শিশুদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে ছিলো। মিলন কুমার দাস প্রতিবাদ করলে কথা কাটাকাটি হয়। সন্ধায় মিলন কুমার দাসের বাবা শ্রী মনি চন্দ্র দাস বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে চামটা দুর্গা মন্দিরের সামনে শুম্ভু রায় ও তার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। মিলন কুমার দাস এগিয়ে আসলে তাকেও আহত করা হয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতী হলে শ্রী মনি চন্দ্র দাসকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
মিলন কুমার দাস বলেন, একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত পিটার পালমার ছেলে পলাশ পালমা (৪৫) আমাকে থানায় অভিযোগ করতে বাঁধা দেয়। অভিযোগ না করার জন্য বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখায়।
এ বিষয়ে শুম্ভু রায়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পলাশ পালমা বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। ভয়ভীতি দেখানোর কোন ঘটনা ঘটে নি। বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।