রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৪:২৩ অপরাহ্ন

ই-পেপার

ভাঙ্গুড়ায় ভিজিডি কার্ডে অর্থ আদায় ! সত্যকে ঢাকতে মিথ্যা প্রতিবাদ খানমরিচ ইউপি চেয়ারম্যানের

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: শনিবার, ৪ জুলাই, ২০২০, ৫:৫৫ অপরাহ্ণ

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আছাদুর রহমান তার ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডধারীদের নিকট থেকে কোনো অর্থ নেওয়া হয়নি বলে একটি অন-লাইন পত্রিকায় প্রতিবাদ দিয়েছেন। অথচ গত ৩০ জুন ভিজিডি চাল বিতরণের সময় ৫২১জন কার্ডধারীর কাছ থেকে পরিবহণ খরচ বাবদ এক’শ টাকা করে আদায় করা হয়। এর আগে ওই চেয়ারম্যানের নির্দেশে পাড়ায় পাড়ায় গ্রাম পুলিশ গিয়ে চাল গ্রহনের আগে কার্ডধারীদের এক’শ করে টাকা ইউপি কার্যালয়ে জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এই ম্যাসেস গোবিন্দপুর গ্রামসহ কয়েকটি মসজিদের মাইক থেকে প্রচারও করা হয়। এ ব্যাপারে গ্রাম পুলিশ,দুস্থ কার্ডধারী নারী,ইউপি সদস্যদের স্বীকারোক্তির একাধিক ভিডিও এ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।

এমনকি ওই চেয়ারম্যান নিজেও সংবাদকর্মীদের ফোনে জানিয়েছিলেন,‘টাকা নেওয়ার খবর পেয়ে আমি তা আদায় করা বন্ধ করে দিয়েছি’। এতেও প্রমাণ হয় যে দুস্থ কার্ডধারী নারীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়েছে ?


এছাড়া ভিজিডি কার্ডে চাল দেওয়ার পূূর্বে সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার এবং মহিলা বিষয়ক কর্মর্তাকে অবহিত করা আবশ্যক। কিন্তু তিনি কাউকেই জানাননি । কারণ তার ভিতরে গলদ ছিল । তিনি ইচ্ছা করেই ট্যাগ অফিসার কে উপস্থিত রাখেননি। কোনো সরকারি কর্মকর্তার সম্মুখে তিনি অবৈধ টাকা আদায় করতে পারবেনা জেনেই বিতরণের তথ্য গোপন রেখেছিলেন।

একজন ইউপি চেয়ারম্যান কোন সাহসে সরকারি দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের না জানিয়ে ভিজিডি চাল বিতরণ করেন তা কারোই বোধগম্য নয় ! তিনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বাঁচার অপচেষ্টা করছেন মাত্র। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার মনে করেন অভিজ্ঞমহল। সেই সঙ্গে ওই চেয়ারম্যান ভিজিডি নীতিমালা তথা সরকারি নির্দেশ অবজ্ঞা করে কেন চাল বিতরণ করলেন তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও অভিজ্ঞমহলের মন্তব্য।

ইতোপুর্বেও ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জনসাধারণের সাথে দুর্ব্যবহার,কৃষকের জমি থেকে জোর করে মাটি কেটে নেওয়া,সরকারি রাস্তায় মাটি ফেলতে মসজিদের ফান্ড অথবা গ্রামের সঞ্চিতফান্ড থেকে টাকা গ্রহন,সামান্য অপরাধে গ্রামের নিরীহ ব্যক্তিকে ইউপি কার্যালয়ে ধরে এনে গ্রাম পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করা প্রভৃতি অভিযোগ রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com