নাটোরের সিংড়া উপজেলার আগপাড়া শেরকোল গ্রামে গলায় রশিবেঁধে মেহেদি হাসান রাব্বি (১৬) নামে এক স্কুল ছাত্র ও কোহিনুর বেগম (২২) নামে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার লাশ দুইটি উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মেহেদি হাসান রাব্বি সোমবার রাতে পড়ার টেবিলে বসে মোবাইল ফোন টিপাটিপি করায় তার মা মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়। এতে সে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে পরিবারের লোকজন ঘুমিয়ে পড়ে। মঙ্গলবার বাড়ির পাশে চাচার পরিত্যক্ত রান্নাঘরের তীরের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পরিবারের লোকজন দেখতে পায়। মৃত মেহেদি হাসান রাব্বি সিংড়া পৌর এলাকার টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের এসএসসি পরিক্ষার্থী এবং ওই গ্রামের আয়নাল হকের একমাত্র ছেলে। অপরদিকে মঙ্গলবার (৩১ মে) একই গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তালাকপ্রাপ্ত কোহিনুর বেগমকে (২৩) গলায় রশিবেঁধে আত্মহত্যা করেছেন। মৃত কোহিনুরের মা আনিছা বেগম বলেন, সে মাঝেমধ্যে বাড়ির জিনিসপত্র ভাংচুর করতো। গত রোববার একাই বাড়ি থেকে বের হয়ে জয়পুরহাট চলে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে সেখান থেকে তাকে সোমবার বাড়ি আনা হয়। আজ মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। পরে ঘরের জানালা ভেঙে তাঁর লাশ বের করা হয়। কোহিনুর বেগম ওই গ্রামের মৃত শামসুল হকের মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, কোহিনুর বেগম একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তালাকপ্রাপ্ত নারী। গত বছরের ২৮অক্টোবর কোহিনুর বেগমের লাঠির আঘাতে তাঁর পিতা শামসুল ইসলাম মারা যান। গত ২৭ এপ্রিল কোহিনূর বেগম জামিনে বের হয়ে বাড়ি আসে।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একই গ্রামে দু’জনের আত্মহত্যার খবর শুনে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।