খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ির রামগড়ের আদালতের আদেশ অমান্য করে রামগড়ের মহামনি এলাকায় অবৈধ ভাবে জমি দখল চেষ্টা এবং ভূমির মালিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে রামগড়ের ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোহাম্মদ শামীমের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী রামগড় পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য মো:মুসা ইব্রাহীম জানান আজ থেকে তেইশ বছর পূর্বে তার বাবা মৃত জাফর আহমেদ ২২৯নং মৌজার ৮১১নং হোল্ডিং ভুক্ত ৮৩নং দাগের অন্দরে মোট ০.২০(একর)শতক জায়গা নুর মোহাম্মদ শামীমের পিতা জয়নাল আবেদীন মোল্লার থেকে ক্রয় করে এবং তারা ঘর নির্মান করে সেখানে বসবাস করতে থাকে।কিন্তুু জমির রেজিস্ট্রি না দেয়ায় দীর্ঘদিন ধরে জয়নাল আবেদীন মোল্লাকে বারবার তাগাদা দেয়ার পরেও বিভিন্ন ভাবে কালক্ষেপন করে।সর্বশেষ বাংলাদেশ-ভারত স্থলবন্দর নির্মানের জন্য উল্লেখিত জায়গাটি অধিগ্রহনের আওতায় পড়ায় প্রকৃত মালিকানা যাচাইয়ের জন্য তার ভাই হারেছ আহমেদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গত ১জুলাই সরেজমিন তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহি অফিসার এবং সার্ভেয়ার মহোদয় ঘটনাস্থলে আসলে তাদের সাক্ষ্য দেয়ার মুহুর্তে যুবগলীগ নেতা শামীম এবং তার ক্যাডার বাহিনী তাদের উপর দা,রড়,ছুরি দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তার ছোট ভাই হারেছ আহমেদ সহ তার বোন গুরুতর জখম হয়ে রামগড় হাসপাতালে ভর্তি হয়।মুসা ইব্রাহীম আরো জানান তার মামা এলাকায় সজ্জন মানুষ হিসেবে পরিচিত রামগড় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসাইনকে শামীমের অপকর্মের প্রতিবাদ করায় বিভিন্নভাবে ক্ষয়ক্ষতি করার হুমকি দিচ্ছেন কুখ্যাত এই কাউন্সিলর।তিনি এই হামলার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য রামগড় পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুর মোহাম্মদ শামীমের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য ব্যবসা, চাঁদাবাজি,অপহরন,নারী কেলেংকারি ঘটিত একাধিক অভিযোগ রয়েছে।২০১৪ সালের ৩০জুন ককা ব্যবসার নাম করে ককার খোঁজ দিবে বলে রামগড় উপজেলার তৈছালা পাড়ায় অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যকে অপহরন করে মুক্তিপণ দাবি করলে চট্টগ্রাম র্যাব ৭ এবং রামগড় থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে নুর মোহাম্মদ শামীম কে গ্রেফতার করা হয় এবং পরবর্তীতে তাকে যুবলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান গ্রেফতারের পর মুক্তি পেয়েও থেমে থাকেনি শামীমের অনৈতিক কর্মকান্ড।তিনি জানান কাউন্সিলর শামীম চাঁদার জন্য এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য মানুষকে নানা ভাবে হেনস্তা করেন।কিছুদিন পূর্বে বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন সাবেক বিজিবি সদস্য আলী আকবরেরর কাছে চাঁদা চাইলে তিনি অন্যায় ভাবে চাঁদা দিতে না চাওয়ায় শামীম এবং তার ভাতিজা আব্দুল মন্নান,ভাই দাউদ সহ তাকে বেদম প্রহার করে,পরবর্তীতে তিনি তৈছালা বিজিবি ক্যাম্পে অভিযোগ করলে বিজিবির সদস্যরা কাউন্সিলর শামীম এবং তার ভাই মো:দাউদ কে ধরে নিয়ে যায়।তাছাড়াও তিনি শামীমকে নারী লোভী হিসেবেও আখ্যায়িত করেন। রামগড়-খাগড়াছড়ি সংলগ্ন যৌথ খামার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে পংকি মিয়ার মেয়ের সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সময় সমাজের মানুষ জন তাকে হাতে নাতে ধরে বিবাহ দেয়।এই ঘটনার ক্ষোভ থেকে যৌথ খামার সমাজ কমিটির সভাপতি বাবুলকে বেদমপ্রহার করে শামীম এবং তার ক্যাডার বাহিনী।
স্থানীয়রা কাউন্সিলরের এ ধরনের কর্মকান্ডের ব্যাপারে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন শামীমের এমন অপকর্মের কাছে তারা জিম্মি হয়ে আছেন।নিজ বাড়িতে টর্চার সেল বানিয়ে তার এসমস্ত অনৈতিক কর্মকান্ডে যারাই প্রতিবাদ করেন তাদের সেখানে নিয়ে গিয়ে বেদম প্রহার করেন।যার কারণে মানুষ তার অপকর্মের বিরোধীতা করতে ভয় পায়।