রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:৩৩ অপরাহ্ন

ই-পেপার

যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে মেশিন ক্রয়ে দূর্নীতি ধরলেন এমপি

প্রতিনিধির নাম:
আপডেট সময়: বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০২০, ৭:৩৩ অপরাহ্ণ

মোঃ কামাল হোসেন যশোর থেকে:

স্বাস্থ্যখাতে দূর্নীতির খবর নতুন কিছু না। সারাদেশের সাথে পাল্লা দিয়ে এবার যশোরের চৌগাছাতেও সেই দূর্নীতি প্রকাশ পেল। তাও আবার খোদ স্থানীয় এমপিই সেই দূর্নীতি ধরে ফেললেন। যশোরের চৌগাছা উপজেলার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বাংলাদেশের একটি মডেল হাসপাতাল। সেই হাসপাতালকে আরো অত্যাধুনিক করতে এবং উপজেলার সাধারন জনসাধারনের উপকার করতেই এই পোর্টএবল এক্সরে মেশিনটি কিনতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের এডিডির বরাদ্দ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা হাসপাতালের পোর্টএবল এক্সওে মেশিন ক্রয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড.মোস্তানিছুর রহমান । আর এই মেশিন ক্রয়ে দুর্ণীতির আশ্রয় নেয়া হয়েছে বলে খোদ স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব) অধ্যাপক ডাক্তার নাসির উদ্দিন অভিযোগ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত পূর্বক ব্যস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল পরিদর্শনে নতুন ক্রয়কৃত পোর্টএবল এক্সরে মেশিনটি দেখে তিনি চমকে ওঠেন। আমি একজন ডাক্তার হিসেবে এসকল মেশিন আমার সর্বাধিক পরিচিত। মেশিনটি মোটেও নতুন নয়। একটি পুরাতন মেশিনকে রং করে সরবরাহ করা হয়েছে।

 

তাহলে হাসপাতাল কর্র্তপক্ষ কিভাবে সেটি বুঝে নিলেন জানতে চান। দূর্নীতিকে কোন অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। দূর্নীতি যেই করুক বা তার পরিচয় যাই হোকনা কেনো কোনো ছাড় নেই এটিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ। এদিকে নতুন পোর্টএবল এক্সরে মেশিনের স্থানে রিকন্ডিশন মেশিন দেখিয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠান আতœসাতের ঘটনায় উপজেলা ব্যাপি তোড়জোড় চলছে। বৃহস্পতিবার যশোর-২ আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব) অধ্যাপক ডা.নাসির উদ্দিনের চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে এই দূর্নীতি হাতেনাতে ধরে ফেললে ঘটনাটি টক অব দি উপজেলায় পরিনত হয়। বিষয়টি তদন্তে ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামকে নির্দেশ দিয়েছেন এমপি নাসির উদ্দিন। সেসময় সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড.মোস্তানিছুর রহমানসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান,সাধারন সম্পাদক মাসুদ চৌধূরীসহ অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, কিভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এক্সরে মেশিনটি বুঝে নিলেন তা আমার মাথায় আসছে না। শুধু তাই না উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তিনি কিভাবে সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রত্যয়পত্র দিলেন সেটি মোটেও আমার বোধগম্য নয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন বিষয়টিতে আমি খুবই আপসেট।

 

আমার স্টোরকিপার আর এক্সওে অপারেটর দুজনেই বললো এক্সরে মেশিনটি ঠিক আছে আর আমি প্রত্যয় দিলাম। আপনার কি মেশিনটি দেখে নেওয়া উচিত ছিল না উত্তরে তিনি বললেন আমার ভুল হয়েছে। হাসপাতাল স্টোরকিপার ইমরান বললেন সরবারহকারি প্রতিষ্টান আরকে এন্টার প্রাইজের মালিক কবির আমাদেরকে কোনো কাগজপত্র দেননি। তবে নিলেন কেনো উত্তরে তিনি বলেন আমি নতুন তবে এক্সওে মেশিনটি আমি বুঝে নিইনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন সরবরাহকারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরকে এন্টারপ্রাইজের মালিক কবিরকে আমি বলেছি আজকের মধ্যে মেশিন ক্রয়ের সম্পূর্নটাকা সরকারি কোষাগারে ফেরৎ দিতে। এবং কবির রাজি হয়েছেন বলেও তিনি জানান


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর পড়ুন
এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com
Raytahost Facebook Sharing Powered By : Raytahost.com