শামসুন নাহার কনা’র ছোট বেলার বাবা-মায়ের দেয়া নাম নাহার কনা’র নামের আড়ালে চলে গেছে,এখন তিনি রঙ্গীন জগতে নাহার কনা নামেই পরিচিত।
পিতার চাকরীর সুবাদে রাজধানী ঢাকাতেই জন্ম নাহার কনার।পড়া লেখা করেছেন বিটিসিএল স্কুলে।পরে সিদ্ধেশ্বরী গার্স কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক। এরপর উচ্চ শিক্ষা একই কলেজে।
উচ্চ শিক্ষিত হযেও চাকরীর জন্য দৌড়াননি। নিজের বন্ধু-বান্ধবদের উৎসাহে সুন্দরী এই অভিনেত্রী ২০১৮ সালে একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করে মিডিয়া জগতে আলোড়ন তোলেন।
অভিনেত্রী নাহার কনার খুটিনাটি বিষয় নিয়ে আলাপকালে তিনি ক্রাইম প্রতিদিনকে জানালেন,শখের বশেই মিডিয়ায় কাজ করেছিলেন তিনি। এখন হয়ে উঠেছেন ব্যস্ত অভিনেত্রী।
নাটকের পাশাপাশি কাজ করছেন মিউজিক ভিডিওতেও। জয় সরকারের ‘আজব রঙের মানুষ’ ও হাসান জাহাঙ্গীর পরিচালিত বৈশাখী টিভিতে প্রচারিত ‘চাপাবাজ’ নাটকে তার অভিনয় দর্শকদের মন কেড়েছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো মিউজিক ভিডিও করেছেন যা ইউটিউবে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। সোস্যাল মিডিয়াতেও সমান তালে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নাহার কনা।
বর্তমানে কাজ করছেন তন্ময় খানের ‘শেষ উপহার’, জহির খানের ‘আমার বাড়ি মেঘের বাড়ি’, আতিক হাসান বাবলুর ‘চিৎকার’ এবং সাঈদ রহমান পরিচালিত ‘ভাই বিয়ে করবে’ নামে কয়েকটি নাটকে।
নিজের ব্যস্ততা প্রসঙ্গে তিনি ক্রাইম প্রতিদিনকে বলেন, ‘নাটকে নিয়মিত হতে চাই। নায়িকা মূল কথা নয়, অভিনয় ফুটিয়ে তোলার মতো চরিত্র পেলেই আমি খুশি। ভালো গল্প পেলে যে কোনো চরিত্রে অভিনয় করার সাহসী সিদ্ধান্ত নিতেও আমার আপত্তি নেই।’
ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন,২০১২ সালে ব্যাংকারের সাথে বিয়ে হয়। ব্যাংকার স্বামী তাকে মিডিয়া জগতের কাজে খুব সার্পোট দেন। নাহার কনা নিজের সৌন্দর্য সচেতন। নিয়মিত জিম করা, সাইকেল চালানো শত কাজের মাঝেও বাদ দেন না তিনি।৫ ফুট ৪ ইঞ্চির উচ্চতা, সাথে মানানসই শারীরীক গড়ন,স্মাট ও সুদর্শন।
নাহার কনা সবশেষে বলেন,ভাল গল্প ও চরিত্র পেলে বড় পর্দায় অভিনয় করবো।
#চলনবিলের আলো / আপন