স্মিত হাসির মিষ্টি অভিনেত্রী ছিলেন স্মিতা পাতিল। মাত্র ৩১ বছরে জীবন প্রদীপ নিভে যায় এই অভিনেত্রীর। ক্ষণজন্মা এই অভিনেত্রী নিজের কাজ থেকে শুরু করে রাজ বাব্বরের সঙ্গে বিয়ে, সব কিছু নিয়েই সরব ছিলেন।
অল্প সময়েই দূরদর্শনের সংবাদ পাঠিকা থেকে অভিনেত্রী হয়ে ওঠা স্মিতা ‘চক্র’ ছবিতে অভিনয় করে দ্বিতীয় বারের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। এমনকি ‘চক্র’ ছবির জন্য মুম্বইয়ের বস্তিতে গিয়ে সেখানকার জীবনযাত্রা আয়ত্ত করেছিলেন স্মিতা।
অভিনেত্রী ও তার শরীর- সিনেমায় এ ধারণা নতুন নয় বরং বহু দিনের চর্চিত বিষয়।আজও এটি বিনোদন জগতের অন্যতম আকর্ষণ।
তাই তো ‘চক্র’ ছবিতে গোসলের দৃশ্য নিয়ে তাকে নানা সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। ১৯৮১ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটি ঘিরে বিতর্ক প্রসঙ্গে নায়িকা নিজেই এক সময়ে মুখ খোলেন। এক ভিডিও তিনি সাক্ষাৎকারে বলেন, আমাদের দেশের মানুষের উপরে কিছু বিষয় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেমন, এই ছবিতে যৌনতা আছে। আবার ওই ছবিতে অভিনেত্রীর অর্ধনগ্ন হয়ে গোসল করার দৃশ্য ও আছে। এই ছবিই তো আপনারা দেখতে হলে ভিড় জমান। এই মনোভাব অত্যন্ত ক্ষতিকর। কই পুরুষকে তো ছবিতে অর্ধনগ্ন কেউ দেখতে চায় না। তাতে নাকি বিশেষ কোন লাভ হয়না! কিন্তু নারীকে অর্ধনগ্ন দেখালে আরও একশো লোক বেশি আসবে ছবি দেখতে! এটাই এখন বেশিরভাগের ধারণা।
প্রসঙ্গত, ব্যক্তিগত জীবনেও নিজের অভিনীত সিনেমার মতই স্মিতা পাতিল বরাবর সরব ছিলেন নারীদের সমস্যা ও অধিকার নিয়ে। বাবা ছিলেন রাজনীতিবিদ। মা ছিলেন সমাজসেবী। দুজনের ব্যক্তিত্বের প্রভাব পড়েছিল স্মিতার বেড়ে ওঠা ও মানসিকতায়। তার অভিনীত ছবিগুলি ছিল প্রথাগত নায়কপ্রধান ছবির বিপরীত মেরুর।
মারাঠি ও হিন্দি ছবিতে নিজের সময়ে স্মিতা ছিলেন বলিষ্ঠ অভিনেত্রী। তার প্রথম ছবি মুক্তি ‘মেরে সাথ চল’ মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে। এর পরের বছর শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় ‘নিশান্ত’। এরপর ‘চরণদাস চোর’, ‘মন্থন’, ‘ভূমিকা’ ইত্যাদি ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন স্মিতা।
#চলনবিলের আলো / আপন