সবশেষ যুব বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ৫ উইকেট শিকার করেন হাঙ্গর্গেকর। এর বদৌলতেই আইপিএল মেগা নিলামে দল পেয়েছেন তিনি। দেড় কোটি রুপিতে তাকে দলে ভিড়িয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। ফলে সময়টা দারুণ যাচ্ছিল রাজবর্ধন হাঙ্গর্গেকরের। কিন্তু এরই মধ্যে বিপত্তিতে পড়লেন তিনি।
হাঙ্গর্গেকরের বিরুদ্ধে বয়স চুরির গুরুতর অভিযোগ তুললেন মহারাষ্ট্রের স্পোর্টস অ্যান্ড ইয়ুথ বিভাগের কমিশনার ওমপ্রকাশ বাকোরিয়া।
ইতোমধ্যে এ নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের কাছে (বিসিসিআই) চিঠিও লিখেছেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রমাণপত্রও জমা দিয়েছেন কমিশনার।
দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ ওয়ান নিউজের (ডব্লিউআইওএন) প্রতিবেদনে বলা হয়, হাঙ্গর্গেকরের আসল বয়স ২১ বছর। টেরনা পাবলিক স্কুলে পড়েন তিনি। অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তির সময় তার জন্ম তারিখ পরিবর্তন করা হয়। ২০০১ সালের ১০ জানুয়ারি এই তরুণ ক্রিকেটারের প্রকৃত জন্মদিন। কিন্তু তা পরিবর্তন করে করা হয় ২০০২ সালের ১০ নভেম্বর। এতে ভারতীয় অনূর্ধ্ব- ১৯ দলে সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
প্রমাণস্বরূপ ধারাশিভের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাহুল গুপ্তর কাছ থেকে সনদ নিয়েছেন বাকোরিয়া। এরই মধ্যে বিসিসিআইকে তা জমা দিয়েছেন তিনি।
সবশেষ যুব বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ৫ উইকেট শিকার করেন হাঙ্গর্গেকর। এর বদৌলতেই আইপিএল মেগা নিলামে দল পেয়ে গেছেন তিনি। দেড় কোটি রুপিতে তাকে দলে ভিড়িয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।
মহারাষ্ট্রের মারাঠাওয়াড়ার তুলজাপুর শহরে জন্মগ্রহণ করে হাঙ্গর্গেকর। প্রথমে অফস্পিনার ছিলেন। পরে ফাস্ট বোলিং শুরু করেন। বিজয় মার্চেন্ট ট্রফিতে মহারাষ্ট্র অনূর্ধ্ব-১৬ দলে সুযোগ পান। স্বাভাবিকভাবেই তার ক্যারিয়ার দ্রুতগতিতে এগোচ্ছিল। কিন্তু বয়স চুরির অভিযোগ এতে বড় ধাক্কা দিতে পারে।
গুরুতর এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্বপ্নের আইপিএলে খেলা হবে না হাঙ্গর্গেকর। ক্রিকেটে নিষিদ্ধও হতে পারেন তিনি।
#চলনবিলের আলো / আপন